চীনে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫০০ ছাড়িয়েছে৷ এদিকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করলে তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির একটি আদালত৷
চীনে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ করোনা ভাইরাসের উপসর্গ গোপন করলে কিংবা ভুল তথ্য দিলে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে৷ আর এর শাস্তি হিসেবে এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে৷ চীনের একটি আদালত এমন নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ডিপিএ৷
শনিবার আদালত এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে৷ তাতে বলা হয়েছে, ভ্রমণের তথ্য লুকালেও তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে৷ স্থানীয় সংবাদপত্র বেইজিং ডেইলি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে কেউ ভাইরাসটি ছড়াতে সহযোগিতা করলে তাকে মানুষের নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলার অপরাধে অভিযুক্ত করা যাবে৷ গুরুতর ক্ষেত্রে নির্দেশনা অমান্যকারীদের ১০ বছরের জেল, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে৷
এদিকে শনিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনও একটি নতুন নির্দেশনা দিয়েছে৷ সেখানে জ্বর, কাশি অথবা অন্য কোন রোগে আক্রান্তদের সড়ক, রেল কিংবা বিমানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে৷
ভাইরাসটা কী?
চীনের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, করোনাভাইরাসের কারণে সেখানে অসুস্থতা বা মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটেছে।
করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস – যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায় নি।
ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯-এনসিওভি। এটি এক ধরণের করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরণের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি।
২০০২ সাল থেকে চীনে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) নামে যে ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৭৭৪জনের মৃত্যু হয়েছিল আর ৮০৯৮জন সংক্রমিত হয়েছিল। সেটিও ছিল এক ধরণের করোনাভাইরাস।
”সার্সের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এখনো আমরা ভুলতে পারিনি, ফলে নতুন ভাইরাসের প্রচণ্ড ভীতির তৈরি হয়েছে। কিন্তু এ ধরণের রোগ মোকাবেলায় আমরা এখন অনেক বেশি প্রস্তুত,” বলছেন ওয়েলকাম ট্রাস্টের চিকিৎসক জোসি গোল্ডিং।