জানার আছে অনেক কিছু তাই জানুন। স্মার্টফোনের সেরা ১০টি অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড,আইওএস, সিম্বিয়ান, উইন্ডোজ ফোন,ব্ল্যাকবেরি,ফায়ারফক্স ওএস,মেমো
১. অ্যান্ড্রয়েড (Android) : অ্যান্ড্রয়েড একটি ওপেন সোর্স মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যেটি মোডিফাইড লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটি গুগল ২০০৫ সালে প্রাথমিক ডেভেলপারদের কাছ থেকে কিনে নেয়। স্যামসাং, সিম্ফনি, হুয়াই অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোন।
২. আইওএস (IOS) : আইওএস অন্যতম একটি জনপ্রিয় স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম। IOS চালিত স্মার্টফোন বাজারে আনে অ্যাপল।
৩. সিম্বিয়ান (Symbian) : সিম্বিয়ান অপারেটিং সিস্টেম আনুষ্ঠানিকভাবে নোকিয়ার সম্পত্তি। এর মানে এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করার আগে অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানকে নোকিয়া থেকে অনুমতি নিতে হবে। নোকিয়া মোবাইলের বাজারে বিশাল অবদান রেখেছে। যার ফলস্বরূপ জাভার পরেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হওয়া মোবাইল ফোন হিসাবে রয়েছে সিম্বিয়ান মোবাইল ফোন।
সামগ্রিকভাবে, Symbian OS- চমৎকারভাবে ডিজাইন করা হয় এবং খুবই ইউজার-ফ্রেন্ডলি। তবে দুর্ভাগ্যবশত, অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস এর ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে আজকাল সিম্বিয়ান ওএস এর গ্রাফ নিচের দিকে যাচ্ছে। সিম্বিয়ান অপারেটিং সিস্টেমের কিছু নোকিয়া ফোন হলো নকিয়া সি 6-01, নকিয়া 603, নকিয়া 700 ইত্যাদি।
৪. উইন্ডোজ ফোন (Windows Phone) : এই অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন। এটি ২০১০ সালে বাজারে আসে।
৫. ব্ল্যাকবেরি (Blackberry OS) : ব্ল্যাকবেরি অপারেটিং সিস্টেম “RIM (Research In Motion)” এর সম্পত্তি এবং ১৯৯৯ সালে প্রথম মুক্তি পায়। রিম এই অপারেটিং সিস্টেমটিকে ব্ল্যাকবেরি স্মার্টফোনের জন্য ডেভেলপ করেছে। ব্ল্যাকবেরি অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম থেকে অনেক ভিন্ন।
অ্যাপলের মতো, ব্ল্যাকবেরি ওএসটিও একটি ক্লোজ সোর্স ওএস এবং অন্য কোনও প্রস্তুতকারকের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। এই অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ রিলিজটি হলো “Blackberry OS 10.3”। ব্ল্যাকবেরী অপারেটিং সিস্টেমের কিছু স্মার্টফোন হলো ব্ল্যাকবেরী বোল্ড, ব্ল্যাকবেরী কার্ভ, ব্ল্যাকবেরি টর্চ এবং ব্ল্যাকবেরী 8520।
৬. ফায়ারফক্স ওএস (Firefox OS) : এই অপারেটিং সিস্টেমটি বাজারে আনে মজিলা ২০১২ সালে। ZTE ও Alcatel এই Operating System ফোন বাজারে ছাড়ে।
৭. বাডা (Bada) : অন্যদের মতো, স্যামসাং এরও একটি স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে যা বাডা নামে পরিচিত। এটি মধ্য পরিসীমা এবং হাই-এন্ড স্মার্টফোন এর জন্য ডিজাইন করা হয়। বাডা একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং কার্যকর অপারেটিং সিস্টেম।
তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্যামসাং অজানা কারণে বড় বড় ক্ষেত্রে এই অপারেটিং সিস্টেমটি ব্যবহার করেনি। এর সর্বশেষ সংস্করণ “Bada 2.0” যা ১৫ মার্চ ২০১২ সালে মুক্তি পায়। স্যামসাং ওয়েভ, স্যামসাং ওয়েভ 2 এবং স্যামসাং ওয়েভ 3 মাত্র এই তিনটি স্মার্টফোনে রয়েছে বাডা অপারেটিং সিস্টেমটি।
৮. পাম (Palm) : পাম অপারেটিং সিস্টেম ১৯৯৬ সালে Palm Inc কর্তৃক ডেভেলপ করা হয় বিশেষ করে “PDA (Personal Digital Assistance)” এর জন্য। পাম অপারেটিং সিস্টেম টাচস্ক্রিন GUI এ কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। কিছু বছর পরে এটি আপগ্রেড করা হয়েছিল এবং স্মার্টফোনে সমর্থন করতে সক্ষম ছিল। পাম অপারেটিং সিস্টেমে লেনোভো, লিজেন্ড গ্রুপ, জেনাম, কিওকেরা এবং আইবিএমসহ বেশ কিছু কোম্পানি কর্তৃক ব্যবহৃত হয়েছে।
৯. মেমো (Maemo) : নোকিয়া ও মেমো কমিউনিটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট ট্যাবলেটের জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেম তৈরিতে একসঙ্গে যোগ দিয়েছিল যা “Maemo” নামে পরিচিত। অন্যান্য ডিভাইসের মতো মেমো ব্যবহারকারীর ইন্টারফেসটিও একটি মেনু দ্বারা গঠিত ছিল যার থেকে ব্যবহারকারীরা যে কোন স্থানে যেতে পারেন। তবে স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে Maemo খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি।
১০. MeeGo : এটিকে একটি মোবাইল প্ল্যাটফর্ম বলা হয় কিন্তু হ্যান্ডহেল্ড, ইন-কার ডিভাইস, টেলিভিশন সেট এবং নেট বুক সহ একাধিক ইলেকট্রনিক ডিভাইস চালানোর জন্য এটি ডিজাইন করা হয়েছিল। ২০১০ সালে মুরেসটাউন ট্যাবলেট পিসি কম্পিউক্স তাইপেইতে চালু করা হয়েছিল, যেটি “MeeGo” চালিত ডিভাইস ছিল।