এপ্রিল ফুল কি ও কেন জানা দরকার
১ম এপ্রিল। পশ্চিমা দেশ গুলোতে এ দিনটি পালন করা হয় মানুষকে বোকা বানানোর দিন বা এপ্রিল ফুল হিসেবে।
এ দিন মিথ্যা বলে, ধোঁকা কিংবা কষ্ট দিয়ে এবং প্রতারণা করে হাস্যরস সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পাশ্চাত্যের কায়দায় মুসলিম দেশ গুলোতে ও প্রতিবছর কিছু লোক এপ্রিল ফুল ডে পালন করে যাচ্ছে।
এপ্রিল ফুল মানে হচ্ছে, এপ্রিলের বোকা। কিন্তু কারা ছিল এপ্রিলের বোকা?
এপ্রিল ফুল এসএমএস, april fool বোকা বানানোর উপায়
আবু আব্দুল্লাহ বিশ্বাসঘাতকতা করলেও তার সেনাপতি মহাবীর মুসাসহ অনেক মুসলমান ফার্ডিনান্ড বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধচালিয়ে যেতে থাকে।
এর আগে কখনো সম্মুখ যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজিত করতে পারেনি বলে চতুর ফার্ডিনান্ড এবারপা বাড়ায় ভিন্ন পথে৷
তার নির্দেশে আশ পাশের সব শস্য খামার জ্বালিয়ে দেয়া হয়৷ অচিরেই দুর্ভিক্ষ নেমে আসে গ্রানাডা শহরে৷ দুর্ভিক্ষ যখন প্রকট আকার ধারণ করে তখন প্রতারক ফার্ডিনান্ড ঘোষণা করে, মুসলমানরা যদি শহরের প্রধান ফটক খুলে দেয় এবং নিরস্ত্র অবস্থায় মসজিদে আশ্রয় নেয় তাহলে তাদের বিনা রক্তপাতে মুক্তি দেয়া হবে৷ সেদিন ছিল “১৪৯২ সালের ১ এপ্রিল”৷
এপ্রিল ফুল কি ও কেন জানা দরকার
লক্ষ লক্ষ নারী,পুরুষ ও শিশু অসহায় আর্তনাদ করতে করতে জীবন্ত পুড়ে মর্মান্তিক ভাবে প্রাণ হারায় মসজিদের ভেতর৷ অসহায় মুসলমানদের আর্তচিৎকার যখন গ্রানাডার আকাশ-বাতাস ভারী করে তোলে- তখন রাণী ইসাবেলা হেসে বলতে লাগলো, ‘হায় এপ্রিলের বোকা! শত্রুর আশ্বাস কেউ কি বিশ্বাস করে? সেই থেকে খ্রিষ্টান জগত প্রতি বছর ১লা এপ্রিল আড়ম্বরের সাথে পালন করে আসছে- April Fool মানে ‘এপ্রিলের বোকা’ উৎসব৷
এপ্রিল ফুল ডের এ মর্মান্তিক ইতিহাস জানারও পর কি আমরা এ দিনটিকে আমোদ-প্রমোদ কিংবা আনন্দের দিন হিসেবে পালন করতে পারি? কক্ষনোই না। এ দিনটি আসলে হওয়া উচিত আমাদের শোকের দিন, ইসলামের শত্রুদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দিন। আরেকটা কথা। মানুষকে ধোঁকা দেয়া, প্রতারণা করা এসব কিন্তু ইসলামী আদর্শের পরিপন্থী।
১লা এপ্রিলে যেভাবে মিথ্যা বলে রসিকতা করার চেষ্টা করা কোন ভাবেই মুসলমানদের সংস্কৃতি হতে পারে না। রাসূলে খোদা বলেছেন, “ধ্বংস তার জন্য- যে লোক হাসানোর জন্য কথা বলে এবং তাতে সে মিথ্যার আশ্রয় নেয়”।
সুতরাং এপ্রিল ফুলের নামে আমরা কেউই কাউকে প্রতারণা করবো না এবং মিথ্যার আশ্রয় নেবো না-এই হোক আজকের দিনের অঙ্গীকার।