বাংলাদেশের খনিজ সম্পদের বর্ণনা দাও?
ক)প্রাকৃতিক গ্যাস:প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ এ পর্যন্ত ২৬ টি গ্যাসক্ষেএে আবৃক্ষিত হয়েছে।
খ) চুনাপাথর : সিমেন্ট, কাচ, কাগজ, সাবান, ব্লিচিং পাউডার প্রভৃতি উৎপাদনে চুনাপাথর ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের সিলেটের ভাঙ্গারহাট ও বাগলীবাজার সুনামগঞ্জের টেকেরহাট, চট্টগ্রামের সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ প্রভৃতি স্থানে চুনাপাথরের মজুদ রয়েছে।
গ) চীনামাটি : চীনামাটি বাসনপত্র, সেনিটারি দ্রব্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ময়মনসিংহের বিজয়পুর ও নওগাঁ জেলার পত্নীতলায় চীনামাটির মজুদ রয়েছে।
ঘ) কয়লা : বাংলাদেশের সিলেট, রাজশাহী, জয়পুরহাট, ফরিদপুর ও দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়ায় কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে।
(ঙ) কঠিন শিলা : দিনাজপুর জেলার মধ্যপাড়া এবং রংপুর জেলার রাণীপুকুরে কঠিন শিলার মজুদ রয়েছে।
চ) সিলিকা বালু : সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও জামালপুরে সিলিকা বালুর মজুদ রয়েছে। এটি কাচ, তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। রং, রাসায়নিক দ্রব্য
ছ) গন্ধক : বারুদ তৈরি, দিয়াশলাই কারখানা, তৈল পরিশোধন প্রভৃতি ক্ষেত্রে গন্ধক লাগে।
জ)খনিজ তেল : সিলেটের হরিপুরে খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশের উপকূলীয় এলাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটে তেল অনুসন্ধানের কাজ চালানো হচ্ছে।
ঝ) তামা : রংপুর জেলার রাণীপুকুর ও পীরগঞ্জ এবং দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলার স্তরে সামান্য তামার সন্ধান পাওয়া গেছে।