বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তর : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে উপস্থাপন করা হলো
ক) কৃষিজ সম্পদ: বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের জমির উর্বরতা, অনুকূল আবহাওয়া, বৃষ্টিপাত, নদ-নদী প্রভৃতি কৃষি উৎপাদনের সহায়ক। এ দেশের কৃষিক্ষেত্রে ধান, গম, ডাল, আলু, তৈলবীজ, ফলমূল প্রভৃতি খাদ্যশস্য এবং পাট, ইক্ষু, চা, তামাক, রেশম প্রভৃতি অর্থকরী ফসল উৎপন্ন হয়। আমাদের জাতীয় আয়ের প্রায় ১৬ ভাগ কৃষি থেকে আসে।
খ) খনিজ সম্পদ: বাংলাদেশ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ নয়। এখানে এ পর্যন্ত যেসব খনিজ সম্পদ আবিষ্কৃত হয়েছে, তা হলো চুনাপাথর, চীনামাটি, কয়লা, কঠিন শিলা, সিলিকা বালু, গন্ধক, খনিজ তেল, তামা প্রভৃতি।
গ) বনজ সম্পদ: বনভূমি ও বনজ সম্পদ অভান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। বাংলাদেশের মোট বনভূমি ভূখণ্ডের প্রায় শতকরা ১১.১ ভাগ, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। বাংলাদেশের সমগ্র বনভূমিকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ১. সুন্দরবন, ২. চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমি, ৩. মধুপুর ও ভাওয়াল বনভূমি ৪. সিলেটের বনভূমি, ৫. দিনাজপুর ও রংপুরের বনভূমি।
ঘ) প্রাণিজ সম্পদ: বাংলাদেশের সর্বত্র বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি দেখা যায়। গৃহপালিত পশু-পাখির মধ্যে গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, হাঁস, মুরগি প্রভৃতি প্রধান। এ ছাড়াও সুন্দরবন ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে রয়েছে বাঘ, হাতি, হরিণ প্রভৃতি মূল্যবান জীবজন্তু ও অসংখ্য প্রজাতির পাখি।
ঙ) শক্তি সম্পদ: কলকারখানা, যানবাহন ও যোগাযোগ, যান্ত্রিক চাষাবাদ, গৃহকর্ম প্রভৃতি ক্ষেত্রে শক্তি সম্পদের ব্যবহার অপরিহার্য। কয়েকটি উৎস থেকে শক্তি পাওয়া যায়। যেমন খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, পানি, আণবিক শক্তি, সৌরশক্তি এবং বিভিন্ন প্রকার প্রচলিত জ্বালানী সামগ্রী।
চ)পানি সম্প:পানি মৌলিক প্রাকৃতিক সম্পদ, যা প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। দেশের কৃষিঙ্গ, বঙ্গ, প্র ও শক্তি সম্পদের অস্তিত্ব রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য পানি সম্পদ প্রয়োজন। বাংলাদেশের পানির উৎস প্রধানত তিনটি। যথা-১. নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর সমুদ্র ২. বৃষ্টিপাত এবং ৩. ভূ-গর্ভস্থ পানি।