গাড়ল ভেড়ার দাম, গাড়ল এর ছবি, গাড়ল কোথায় পাওয়া যায়

গাড়ল ভেড়ার দাম

গাড়ল ভেড়ার দাম

গাড়ল এর ছবি, গাড়ল কোথায় পাওয়া যায়
গাড়ল ভেড়ার দাম

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে গাড়ল (উন্নত জাতের ভেড়া) পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন খামারীরা। গাড়ল পালনে খরচ কম, বেশি লাভ হওয়ায় এবং এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এ প্রাণী পালনে আগ্রহ বেড়েই চলেছে। অনেকে সফলতা অর্জন করেছে এবং গাড়ল পালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে এলাকার অনেক বেকার যুবক ।

একটি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী উপজেলার তর্পনঘাট গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল শেখের পুত্র মোঃ রইচ উদ্দিনের স্বল্প বেতনে ঠিকমত সংসার চলতনা। সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকত। তিনি প্রায় ৫ বছর পুর্বে মেহেরপুর জেলায় তার আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে গাড়ল পালন দেখে উদ্বুদ্ধ হন। সেখান থেকে তিনি ২টি মা গাড়ল ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে কিনে বাড়ীতে এনে পালন শুরু করেন।
যোগাযোগের ঠিকানাউন্নত জাতের ভেড়া প্রজনন খামার। মেহেরপুর জেলার দরবেশপুরে উন্নত জাতের গাড়ল ভেড়ার খামার টি #ওয়েভ_ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। এই খামারে উন্নত জাতের গাড়ল ভেড়া উৎপাদন করা হয়। রোগমুক্ত এসব গাড়ল ভেড়া নতুন উদ্যোগী খামারীরা সহজে সংগ্রহ করতে পারেন। যোগাযোগে #০১৭১৮২২১৯৩৯
#০১৭৫৭৪৭৭৭৯০
#০১৭২৩৫৮৫২১১ গাড়ল ভেড়ার দাম

এখন তার খামারে সব সময় ১শ টির অধিক গাড়ল পালন হচ্ছে।

গাড়লের ছবি

উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারীরা এসে তার কাছ থেকে গাড়ল কিনে নিয়ে যায়। তার খামারের গাড়লের চাহিদা বৃদ্ধি হওয়ায় তার নিজ খামারের উৎপাদিত গাড়ল ছাড়াও তিনি মেহেরপুর থেকে গাড়ল কিনে এনে খামাড়ীদের নিকট বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করছেন। এখন তিনি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করছেন। তার ভাল আয় রোজগার হওয়ায় এখন তার সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে, এখন তিনি সাবলম্বী। গাড়ল পালনে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে।

রইচ উদ্দিন, জানান- গাড়লের মাংস গন্ধ মুক্ত সুশাদু। পুষ্টি গুনেও ভাল। দেশের দক্ষিন বঙ্গে এর মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতি কেজি মাংস ৭ থেকে ৮ শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। একজন খামারী ২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে খরচ বাদে গাড়ল খামার থেকে প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবে। গাড়ল পালনে তেমন কোন ঝামেলা নাই। মাঠে ছেড়ে দিয়ে প্রাকৃতিক খাবার যেমন মাঠের ঘাস, লতাপাতা খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে পালন করা যায়। রোগবালাই খুবই কম। ফলে গাড়ল পালনে খরচও খুব কম। একটি গাড়ল বছরে ২ বার ১/৩ বাচ্চা দেয়। তিনি বেকার যুবকদের চাকুরীর পিছনে না ছুটে গাড়ল পালন করে স্বাবলম্বী হওয়ায় আহ্বান জানান।

গাড়ল পালন এই উপজেলায় নতুন হলেও বর্তমানে রইচ উদ্দিনের মত এলাকার অনেকেই গাড়ল পালন শুরু করেছে। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন খামারীদের গাড়ল পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার মোঃ নাসিরুল ইসলাম জানান- উপজেলায় মোট ১২ জন খামারী গাড়ল পালন শুরু করেছে। তুলনামুলক গৃহ পালিত অন্য প্রাণির চেয়ে গাড়লের রোগ বালাই কম হয় এবং দ্রুত মাংস বৃদ্ধি হয়। গাড়ল পালন লাভজনক হওয়ায় গাড়ল পালনে অনেকে আগ্রহ দেখাচ্ছে। প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে গাড়লের চিকিৎসা সেবা, পরামর্শ সহ সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে খামারীদের।

গাড়ল পালনে লাভ কেমন জানার উপায়,গাড়লের হাট বা খামার কোথায়,গাড়লের খাবার কি,গাড়ল কোথায় পাওয়া যায় এবং ফোন নাম্বার, গাড়লের খামার মহেশপুর,গাড়ল অর্থ কি,

About Post Author

Related posts