মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পর্কে রচনা ৭০০ শব্দের
ভূমিকাঃ হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠতম অর্জন বাংলাদেশ স্বাধীনতা।
আর এ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গে যার নাম চিরস্বরণীয় হয়ে আছে,
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সংগ্রাম ও অবদানে নিজ নিজ জাতির মুক্তিদাতা হিসেবে মানুষদের মধ্যে আছেন আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন, তুরষ্কের কামাল আতাতুর্ক, ভারতের মহত্না গান্ধী, দক্ষিন আফ্রিকার নেলসন মেন্ডেলা,কিউবার ফিদেল কাস্ত্রো প্রমুখ নেতা।
আর আছে বাংলাদেশ শেখ মজিবুর রহমান। তিনি বাঙ্গালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা। দীর্ঘ সংগ্রাম ও সাধনার মধ্য দিয়ে তিনি ইতিহাসের বরপুত্র হিসেবে মর্যদা লাভ করেছেন। তার জীবনদর্শে আমরা সংগ্রামী চেতনা ও কর্মনিষ্ঠার পরিচয় পাই।
মুক্তিযুদ্ধ কিঃ মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে একটি জাতি বা গোষ্ঠীর মুক্তি রা স্বাধীনতা লাভের জন্য লড়াই।
এই লড়াই একটি ঔপনিবেশিক শক্তিকে উৎখাত করার জন্য হতে পারে। এই যুদ্ধের দুটি বাহিনীর মধ্যকার নিয়মিত বা সাধারন যুুদ্ধের ন্যায় না,
এর বিস্তৃতি ব্যাপক। মুক্তিযুদ্ধের সংঙ্গার জন্য ইংরেজী ও বাংলা অভিধান ঘাঁটলে আরো স্বাল্প পরিসরে মোটামুটি এমন সঙ্গাই পাওয়া যায়।
এই সংঙ্গা গুলোর মধ্যে মুক্তি নামক একটি সাধারন অনুমিতি আছে। বস্তুতঃ এই মুক্তি নামক একটি সাধারণ অনুমিতি আছে।
বস্তুতঃ এই মুক্তি ব্যাপারটি পরিষ্কার হলে তার জন্য যুদ্ধের ব্যাপারটিও পরিষ্কার হয়।
প্রেক্ষাপটঃ ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর ভারত ও পাকিস্তান নামে দুইটি রাষ্টের জন্ম হয়।
পাকিস্থানের দুুটি অংশ ছিল যার নাম ছিল পূর্ব পাকিস্থান ও পশ্চিশ পাকিস্থান। দুই রাষ্টের মধ্যে যেমন ছিল দূরত্বের ফারাক ,
তেমনি অধিকারের দিক থেকে ও ছিল দুই রাষ্টের মধ্যে অনেক তফাৎ। তৎকালীন পাকিস্থান তথা বর্তমান বাংলাদেশের মানুষের উপর প্রথম থেকেই পাকিস্থানিরা অত্যাচারের স্টিম রোল চালাতে থাকে। বাংলাদেশ থেকে পাচার হতে থাকে সম্পদ।
পূর্ব বাংলায় দ্রব্যমূলোর দাম নিয়ে শুরু হয় বৈষম্য।
তাছাড়া বাঙ্গালির নানান অধিকার থেকেও তারা বঞ্চিত হতে থাকে।
ফলে সারাদেশে এক বিরাট বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় যা পরবর্তিতে আন্দোলন রূপ নেয়।
৭০০ শব্দের
“আর পড়ুনঃ” বিকাশ একাউন্ট থেকে ২০ টাকা মোবাইল Recharge করে ১০০% ক্যাশব্যাক নিয়ে নিন.!!
স্বাধীনতা ডাকঃ ১৯৬৯ সালের গনঅভূখানের পর থেকেই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারেন এদেশকে স্বাধীন করা ছাড়া আর উপায় নেই।
এ দেশের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হরে সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে হবে। তাই ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঐতিহাাসিক রেসকোর্স ময়াদনে দাঁড়িয়ে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা ডাক দেন।
এই ভাষণ ৭ই মার্চের ঐতিহাসির ভাষণ নামে পরিচিত। এই ভাষনে বঙ্গবন্ধু সাধারন জনগনকে যা কিছু তা নিয়েই যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার আদেশ দেন। সেই ভাষনই ছিল বাঙ্গালির দেশ স্বাধীনতা করার মূল পেরনা। সেই ভাষণে ছিল যুদ্ধের সকল দিক নির্দেশনা।
তিনি বলেন—
”রক্ত যখন দিয়েছি , রক্ত আরো দিব এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
“আর পড়ুনঃ” Banglalink সিমে ফ্রিতে 1GB নিয়ে নিন এবং প্রতিদিন 25MB করে বোনাস
মুক্তিবাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধঃ ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জেনারেল এম.এ. জি ওসমানীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠে মুক্তিবাহিনী।
প্রথমে এর সংখ্যা ছিল ১৩০০০। তারপর দলে দলে বাংলার সাহসী তরুণেরা রা অংশগ্রহন করতে থাকে।
জেনারেল এম. এ. জি ওসমানীকে মুক্তিবাহীর কমান্ডার চিফ ইনচার্জ হিসেবে নিযু্ক্ত করা হয়। তার নেতৃত্বে গঠন করা হয় নিয়মিত বাহিনী ও অনিয়মিত গেরিলা বাহিনী।
নিয়মিত বাহিনীর অধীনে সারা দেশ তিনটি ব্রিগ ফোর্স গঠন করা হয় যা কে ফোর্স, জেড ফোর্স ও এস ফোর্স নামে পরিচিত।
তাছাড়া মুক্তি যুদ্ধকে পরিচালনা করার জন্য দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।
মে মাস পর্যন্ত নিয়মিত বাহিনী সাফাল্যের সাথে যুদ্ধ করে যায়। অতঃপর জুন মাসে অনিয়মিত গেরিলা বাহিনী সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
১০ নং সেক্টরের অধীনে থাকা নৌ কামান্ডো বাহিনীও অত্যন্ত বীরত্ব ও কৃতিত্বের সাথে যুদ্ধ করে।
“আর পড়ুনঃ” মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা খ গ্রুপ ১২০০
১২০০ শব্দের
মুক্তিযুদ্ধ নারীর ভূমিকাঃ বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে নারীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন। নারী সক্রিয় ছিল কখনও সরাসরি যুদ্ধ ক্ষেত্রের আড়ালে।
মুক্তিযুদ্ধের সাহস জুগিয়েছিল, প্রেরণা জুুগিয়েছেন এমন নারীর সংখ্যার অসংখ্য। অজানা -অচেনা আহত মুক্তি যোদ্ধাদের সেবা-সুস্থতা করেছেন বহুনারী।
চরম দুঃসময়ে পাকিস্থানি হানাদার হাত থেকে রক্ষা করতে নিজেদের ঘরে আশ্রয় দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের।
অনেক সময় শুত্রুর কাছে নিজেদের প্রান ও দিতে হয়েছে।
“আর পড়ুনঃ” ২টি ঘন্টা আছে। একটি ১২ মিনিট পরপর এবং অপরটি ৫ মিনিট পরপর বাজে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাঃ মুক্তি যুদ্ধের চেতনা বাঙ্গালি জাতিকে শোষণ ও অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি প্রদান করেছেন।
ধর্মীয় গোঁড়ালি এবং কুসংস্কারের ঊর্ধ্বে উঠে শত বছরের বাঙ্গালি পরিচায়কে প্রাধান্য দিয়ে হিন্দু, মুসলিম , বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এক্যবন্ধ হয়েছে।
এই এক্য দেশ গঠনে এবং এম উন্নয়নে বাঙ্গালি জাতিকে নতুন উদ্যম প্রদান করে।
দেশপ্রেম এবং জাতীয় সঙ্গাত একত্রে অত্যাবশ্যক।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই পরে আমাদের সব বিভেদ ভুলে দেশ প্রেমিক বাঙ্গালি হিসেবে লাল-সবুজ পতাকার তলে সমেবেত করতে। তাই মুক্তি – যুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হওয়া আজ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
মানবিক মূল্যবোধ কিঃ বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার এই দুুটি শব্দ একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর জম্মই হয়েছিল মানুষের অধিকার সুরক্ষার জন্য। মানবাধিকারের প্রতিতার অঙ্গীকার ছিল অবিচল। শৈশব থেকে আমৃতু তিনি মানবাধিকারের প্রতি নিবেদিত ছিলেন।
মানবিক মূল্যবোধ হচ্ছে শৃঙ্খল ও ন্যায় সমাজ গঠনের প্রথম শর্ত। মানবিক মূলবোধ বলতে কতগুলো মনোভাবের সমন্বয় গঠিত অপেক্ষাকৃত স্থায়ী বিশ্বাসকে বুঝায়। য়ে চিন্তা-ভাবনা , লক্ষ্য ও কর্মকান্ডকে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত করে তাই মানবিক মূল্যবোধ।
১৫০০ শব্দের
উপসংহারঃ স্বাধীনতা যে মানুষের জন্মগত অধিকার বাংলাদেশের মানুষ তা রক্ত দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে।
ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিমেয়ে আমরা পেয়েছিলাম এই স্বাধীনতা।
এর মাধ্যমে অবসান ঘটেছিল পাকিস্থানের প্রায় ২৪ বছরের শাসন, শোষন ও নিপীড়নের।
তবে স্বাধীনতার ৪০ বছরের পরেও আমরা এখনো বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলা গড়তে পারিনি।
স্বাধীন জাতি হয়েও স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ এখনো আমরা পাইনি। তাই সকল সংকটকে দূরে ঠেলে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।
আমাদের নিজেদেরকে দেশপ্রেম, কর্তব্য বোধ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বদ্ধ করতে পারলেই আমরা রক্ষা করতে পারব আমাদের স্বাধীনতাকে।
ট্যাগঃ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা pdf, মুক্তিযুদ্ধ ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা,
মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পর্কে রচনা, মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা ১৫০০ শব্দের,
মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা লেখা, মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা