মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা খ গ্রুপ
মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা ১২০০ শ্বদের রচনা দেওয়া আছে আপনি দেখে লিখে নিতে পারেন।
একাদ্বাশ – দ্বাদশ শ্রেণির জন্য মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা উত্তর।
ভূমিকা: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শুরু হয়েছিল কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম যুগ-যুগ ধরে চলে এসেছিল।
অবশেষে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহিদের রক্ত ও অসংখ্য মা – বােনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এর সমাপ্তি ঘটে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে।এ দিন পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশের।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একদিকে যেমন করুণ, শােকাবহ, এর লােমহর্ষক অন্যদিকে ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত ও বীরত্বপূর্ণ।
“আর পড়ুনঃ” মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা ৭০০ শব্দের
মুক্তিযুদ্ধ কিঃ মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে একটি জাতি বা গোষ্ঠীর মুক্তি রা স্বাধীনতা লাভের জন্য লড়াই।
এই লড়াই একটি ঔপনিবেশিক শক্তিকে উৎখাত করার জন্য হতে পারে। এই যুদ্ধের দুটি বাহিনীর মধ্যকার নিয়মিত বা সাধারন যুুদ্ধের ন্যায় না, এর বিস্তৃতি ব্যাপক।
মুক্তিযুদ্ধের সংঙ্গার জন্য ইংরেজী ও বাংলা অভিধান ঘাঁটলে আরো স্বাল্প পরিসরে মোটামুটি এমন সঙ্গাই পাওয়া যায়।
এই সংঙ্গা গুলোর মধ্যে মুক্তি নামক একটি সাধারন অনুমিতি আছে। বস্তুতঃ এই মুক্তি নামক একটি সাধারণ অনুমিতি আছে।
বস্তুতঃ এই মুক্তি ব্যাপারটি পরিষ্কার হলে তার জন্য যুদ্ধের ব্যাপারটিও পরিষ্কার হয়।
“আর পড়ুনঃ” ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি ১৭ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ হয়েছে ডাউনলোড করে নিন
মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা উত্তর
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনে রয়েছে এক ঐতিহাসিক পটভূমি।
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন এক ষড়যন্ত্রমূলক যুদ্ধে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ – উদ – দৌলা ইংরেজদের নিকট পরাজিত হন।
সেখান থেকেই বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। বাঙালি জাতি চলে আসে ইংরেজদের শাসনাধীন।
দু’শ বছর তারা রাজত্ব চালায়। বিজাতীয় শাসন, শােষণ , বঞ্চনা আর নিপীড়নের যাঁতাকলে বাঙালি জাতি নিষ্পেষিত হয়েছে।
মনের কোণে লালিত স্বাধীনতা স্পৃহা আর ধূলি- লুণ্ঠিত স্বপ্নসাধ থেকে বিভিন্ন সময়ে এদেশের মানুষের মনে জন্ম
স্বাধীনতা ডাকঃ ১৯৬৯ সালের গনঅভূখানের পর থেকেই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারেন এদেশকে স্বাধীন করা ছাড়া আর উপায় নেই।
এ দেশের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হরে সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে হবে। তাই ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঐতিহাাসিক রেসকোর্স ময়াদনে দাঁড়িয়ে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা ডাক দেন। এই ভাষণ ৭ই মার্চের ঐতিহাসির ভাষণ নামে পরিচিত।
এই ভাষনে বঙ্গবন্ধু সাধারন জনগনকে যা কিছু তা নিয়েই যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার আদেশ দেন। সেই ভাষনই ছিল বাঙ্গালির দেশ স্বাধীনতা করার মূল পেরনা।
সেই ভাষণে ছিল যুদ্ধের সকল দিক নির্দেশনা। তিনি বলেন—
”রক্ত যখন দিয়েছি , রক্ত আরো দিব এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
স্বাধীনতা আন্দোলন: পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মােহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘােষণা দেয়ার পর থেকেই মূলত স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করা হয়। রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে রােধ করার জন্য গঠিত হয় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ।
১৯৫২ সালে পুনরায় উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘােষণা দিলে ছাত্র – জনতা পুনরায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে।
এ আন্দোলনকে স্তিমিত করার জন্য গুলি চালানাে হয়। এতে শহিদ হন সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতসহ অনেকে।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবি এবং যুক্তফ্রন্টের অভূতপূর্ব বিজয় লাভ পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর ক্ষমতার ভিতকে নড়বড়ে করে দেয়।এইচএসসি “মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ” রচনা প্রতিযোগিতা।
মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা ১২০০ শব্দের
ভরাডুবি এবং যুক্তফ্রন্টের অভূতপূর্ব বিজয় লাভ পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর ক্ষমতার ভিতকে নড়বড়ে করে দেয়।
১৯৬৫ সালে মৌলিক গণতন্ত্রের নামে আইয়ুব খান এক প্রহসনের নির্বাচন দিয়ে এদেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করে নেয়।
এখান থেকেই স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি উত্থাপিত হয়।
১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সাজিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাগারে আটক করা হয়। কিন্তু গণআন্দোলনের মুখে তাকে আটকে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
সে রাতেই তদানীন্তন সামরিক একনায়ক জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে লেলিয়ে দেয় নিরীহ বাঙালি জনগণের ওপর।
রাতের আঁধারে চলে নির্মম ও বর্বর গণহত্যা। সে রাতে গ্রেফতারের আগে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণা দেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘােষণা প্রচার করা হয় । গােটা বাংলাদেশ জুড়ে স্বাধীনতার জন্য স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থান ঘটে।
“আর পড়ুনঃ” ২টি ঘন্টা আছে। একটি ১২ মিনিট পরপর এবং অপরটি ৫ মিনিট পরপর বাজে।
মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ শীর্ষক রচনা
মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি করা হয়।
তার অবর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন । তাজউদ্দীন আহমদ পালন করেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব।
মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হন কর্নেল (অব .) আতাউল গণি ওসমানী। এ সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুক্তিসংগ্রাম।
মুক্তবাহিনী গঠন: স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ১১ টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। এ দেশের অগণিত ছাত্র – জনতা, পুলিশ, ইপিআর, আনসার ও সামরিক-বেসামরিক লােকদের সমন্বয়ে মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে দেশকে মুক্তি করার লক্ষ্যে তারা যুদ্ধ কৌশল , অস্ত্রচালনা ও বিস্ফোরক ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।
যতই দিন যেতে থাকে ততই সুসংগঠিত হয় মুক্তিবাহিনী। মুক্তিবাহিনী গেরিলা যুদ্ধে রীতি অবলম্বন করে। শত্রুদের বিপর্যস্ত করে।
বিশাল শত্রুবাহিনী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়েও মুক্তিবাহিনীর মােকাবিলায় সক্ষম হচ্ছিল।
মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা ১২০০ শব্দের
মুক্তিযুদ্ধ নারীর ভূমিকাঃ বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে নারীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন। নারী সক্রিয় ছিল কখনও সরাসরি যুদ্ধ ক্ষেত্রের আড়ালে। মুক্তিযুদ্ধের সাহস জুগিয়েছিল, প্রেরণা জুুগিয়েছেন এমন নারীর সংখ্যার অসংখ্য। অজানা -অচেনা আহত মুক্তি যোদ্ধাদের সেবা-সুস্থতা করেছেন বহুনারী। চরম দুঃসময়ে পাকিস্থানি হানাদার হাত থেকে রক্ষা করতে নিজেদের ঘরে আশ্রয় দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের। অনেক সময় শুত্রুর কাছে নিজেদের প্রান ও দিতে হয়েছে। এইচএসসি “মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ” রচনা প্রতিযোগিতা।
ভারতের সহযােগিতা ও স্বীকৃতি প্রদান: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে প্রতিবেশী ভারত সহযােগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
ভারত বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয় , বিভিন্ন অস্ত্র , সেনাবাহিনী ও কূটনৈতিক সহযােগিতার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে অনেক দূর এগিয়ে দেয়।
যুদ্ধে পরাজয় অবশ্যম্ভাবী বুঝতে পেরে পাকিস্তান এ যুদ্ধকে পাক ভারত যুদ্ধ আখ্যায়িত করে আন্তর্জাতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা চালায়।
কিন্তু সােভিয়েত রাশিয়া এতে ভেটো প্রয়ােগ করায় জাতিসংঘ যুদ্ধ থামানাের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়।
৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান বিমান হামলা করার পর এদিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাঃ মুক্তি যুদ্ধের চেতনা বাঙ্গালি জাতিকে শোষণ ও অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি প্রদান করেছেন।
ধর্মীয় গোঁড়ালি এবং কুসংস্কারের ঊর্ধ্বে উঠে শত বছরের বাঙ্গালি পরিচায়কে প্রাধান্য দিয়ে হিন্দু, মুসলিম , বৌদ্ধ,
খ্রিস্টান এক্যবন্ধ হয়েছে। এই এক্য দেশ গঠনে এবং এম উন্নয়নে বাঙ্গালি জাতিকে নতুন উদ্যম প্রদান করে।
দেশপ্রেম এবং জাতীয় সঙ্গাত একত্রে অত্যাবশ্যক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই পরে আমাদের সব বিভেদ ভুলে দেশ প্রেমিক বাঙ্গালি হিসেবে লাল-সবুজ পতাকার তলে সমেবেত করতে।
তাই মুক্তি – যুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হওয়া আজ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
muktijuddho shadhinota o manobik mullobodh rochona
মানবিক মূল্যবোধ কিঃ বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার এই দুুটি শব্দ একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর জম্মই হয়েছিল মানুষের অধিকার সুরক্ষার জন্য।
মানবাধিকারের প্রতিতার অঙ্গীকার ছিল অবিচল। শৈশব থেকে আমৃতু তিনি মানবাধিকারের প্রতি নিবেদিত ছিলেন।
মানবিক মূল্যবোধ হচ্ছে শৃঙ্খল ও ন্যায় সমাজ গঠনের প্রথম শর্ত। মানবিক মূলবোধ বলতে কতগুলো মনোভাবের সমন্বয় গঠিত অপেক্ষাকৃত স্থায়ী বিশ্বাসকে বুঝায়।
য়ে চিন্তা-ভাবনা , লক্ষ্য ও কর্মকান্ডকে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত করে তাই মানবিক মূল্যবোধ।
চূড়ান্ত বিজয়: ভারতীয় সেনাবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সম্মিলিত সংগ্রামে ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টা ৩১ মিনিটে ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানের
সেনাপ্রধান নিয়াজী ৯৩ হাজার সৈন্যসহ বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করে।
বাংলাদেশের পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং আরােরা এবং পাকিস্তানের পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পণেল দলিলে স্বাক্ষর করেন।
ফলে দীর্ঘ ৯ মাসের সংগ্রামের অবসান ঘটে এবং বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় লাল – সবুজ পতাকার স্বাধীন সার্বভৌম
উপসংহার : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে মিশে আছে এদেশের ছাত্র – শিক্ষক , কৃষক – শ্রমিক , সাংবাদিক , বুদ্ধিজীবী তথা আপামর জনতার রক্তিম স্মৃতি।
লাখাে শহিদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। তাই মুক্তিযােদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে আমাদের দেশ গঠনের কাজে আত্মনিয়ােগ করতে হবে।
তাদের স্মৃতিচারণ না করে তাদের মতাে দেশাত্মবােধে জেগে উঠতে হবে। তবেই মুক্তিযুদ্ধের সার্থকতা প্রতিফলিত হবে।