উৎপাদনের উপযোগ সৃষ্টির পাঁচটি প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।

উৎপাদনের উপযোগ সৃষ্টির পাঁচটি প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : অর্থনীতিতে উপযোগ সৃষ্টি করাকে উৎপাদন বলা হয়।
নিম্নে উৎপাদনের উপযোগ সৃষ্টির পাঁচটি প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হলো

১. রূপগত উপযোগ: দ্রব্যের রূপ পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন দ্রব্য উৎপাদন করাকে রূপগত উপযোগ বলে। যেমন : কাঠকে সুবিধামতো পরিবর্তন করে খাট, চেয়ার, টেবিল বানানো হয়। খাট, চেয়ার, টেবিল হলো রূপগত উপযোগ।

২. স্থানগত উপযোগ : কোনো কোনো দ্রব্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করলে তার উপযোগ বাড়ে। যেমন : বনের কাঠ সাধারণত বনের আশপাশের লোকজন খড়ি হিসেবে ব্যবহার করে। শহরে আনলে মানুষ এই কাঠ দিয়ে আকর্ষণীয় আসবাবপত্র বানাতে পারে। ফলে এর উপযোগ বাড়ে। আবার বনে ফুলের তেমন কদর নেই। কিন্তু সেই ফুলসহ গাছ শহরের বাড়ির আঙিনায় রাখলে এর কদর বাড়ে অর্থাৎ উপযোগ বাড়ে।

৩. সময়গত উপযোগ: সময়ের ব্যবধানে অনেক জিনিসের উৎপাদন ও উপযোগ বাড়ে। এদেরকে সময়গত উপযোগ বলে। যেমন: পৌষ-মাঘ মাসে ধানের মৌসুমে ফলন বেশি হয়। এ সময়ে ধানের দাম কম থাকে। এ সময় ধান মজুদ করে ভাদ্র-আশ্বিন মাসে বিক্রয় করলে বেশি দাম পাওয়া যায়। এখানে ধানের উৎপাদন হ্রাস বা বৃদ্ধি না পেলেও তার উপযোগ বা দাম বর্ধিত হবে।

৪. সেবাগত উপযোগ: মানুষ তার সেবা দ্বারা যে উৎপাদন সৃষ্টি করে তাকে সেবাগত উপযোগ বলে। শিক্ষক শিক্ষাদান করে শিক্ষিত মানুষ তৈরি করে, ডাক্তার চিকিৎসা দিয়ে মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখে বা উৎপাদন ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রাখে বা বৃদ্ধি করে।

৫.মালিকানাগত উপযোগ :কোনো কোনো অর্থনৈতিক দ্রব্য ও সেবার মালিকানা পরিবর্তন করে অতিরিক্ত উৎপাদন সৃষ্টি করা যায়। যেমন:অব্যহৃত জমি ক্রয় করে একজন কৃষক চাষাবাদ করে উৎপাদন করতে পারে অথবা ব্যবহৃত জমি ক্রয় করে ভালোভাবে চাষাবাদের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে পারে।

Table of Contents

About Post Author

Related posts