হিসাববিজ্ঞানের সাথে অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্কের উপর সংক্ষেপে আলোচনা করুন। (Briefly explain the relationship of other disciplines with accounting.)
হিসাববিজ্ঞান বিচ্ছিভাবে কিংবা স্বতন্ত্রভাবে কোন কাজ করতে সক্ষম হয় না।
এটি বিভিন্ন উৎস থেকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে বিনিময়ে ঐসব উৎসসমূহকে বহু তথ্য সরবরাহ করে।
এমতাবস্থায় যে সব পাঠ্য বিষয়ের সঙ্গে হিসাববিজ্ঞানের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে নিম্নে তা সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো
১. হিসাববিজ্ঞান এবং অর্থনীতি (Accounting and Economics) : হিসাববিজ্ঞানের সঙ্গে অর্থনীতির সম্পর্ক নিবিড়ভাবে যুক্ত।
অর্থনীতি হলো সীমাবদ্ধ সম্পদের চাহিদা পূরণে মানুষের আচরণ পর্যালোচনাকারী একটি বিজ্ঞান।
মানুষ কি উপায়ে অর্থ উপার্জন ও ব্যয় করে, ক্রেতা-বিক্রেতা কোন অবস্থায় কি আচরণ করে ইত্যাদি বিষয় অর্থনীতি বিশ্লেষণ করে।
অপরদিকে হিসাববিজ্ঞান এই সকল আয়-ব্যয় সংক্রান্ত লেনদেন অর্থের মাপকাঠিতে লিপিবদ্ধ করে এবং ক্রেতা-বিক্রেতার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রাসঙ্গিত তথ্য সরবরাহ করে।
অর্থনীতি সামগ্রিকভাবে ক্রেতা-বিক্রেতার আচরণসমূহকে বিশ্লেষণ করে।
আর হিসাববিজ্ঞান প্রতিটি ক্রেতা এবং বিক্রেতাকে অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যাবতীয় আর্থিক তথ্য সরবরাহ করে।
অর্থনীতির জ্ঞান হিসাববিজ্ঞান নীতিমালা ও ধারণাসমূহ বুঝতে অধিকত্তর সহায়তা করে।
কারণ হিসাববিজ্ঞান পদ্ধতি অর্থনৈতিক তথ্য পরিমাপ করে এবং অর্থনীতির ধারণাসমূহ থেকেই প্রধানত তা উদ্ভূত হয়েছে।
কোন দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশ জানা থাকলে হিসাববিজ্ঞান ও অর্থসংস্থানের কাজ বিস্তারিতভাবে বুঝতে সহায়তা হয়। তাই এই দুটি বিষয় একে অপরের পরিপূরক।
“আর পড়ুনঃ” হিসাববিজ্ঞানের নৈতিকতা বলতে কী বুঝায়? JAIBB
২. হিসাববিজ্ঞান এবং আইনশাস্ত্র (Accounting and Law): আইন সে সব অধিকার ও দায়িত্বসমূহ নির্ধারণ করে দেয় যা বলবৎ করা যায়।
আইনের উৎসসমূহের মধ্যে রয়েছে সংবিধি এখা এবং আইন দ্বারা নির্দিষ্ট পূর্ব উদাহরণসমূহ।
আইনকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, যেমন—সাংবিধানিক আইন, প্রশাসনিক আইন, ফৌজদারি আইন, দেওয়ানি আইন, রাজস্ব আইন এবং বাণিজ্যিক আইন।
দেশের প্রচলিত আইন অনেকাংশে ব্যবসায়-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই হিসাববিজ্ঞান এবং আইনশাস্ত্র পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুটি বিষয়।
“আর পড়ুনঃ” মূলধন জাতীয় ব্যয় এবং মুনাফা জাতীয় ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য কি?
হিসাববিজ্ঞানের সাথে অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্কের উপর সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
হিসাবরক্ষক এবং হিসাব কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলকভাবে অংশীদারি আইন, কোম্পানি আইন, কর আইন, শিশু আইন, সমবায় আইন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণার অধিকারী হতে হয়।
কারণ সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান অনুযায়ী স্বীকৃত পদ্ধতিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষণ কার্য সম্পাদন করতে হয়। যেমন, কোম্পানি আইন অনুসারে প্রতিটি কোম্পানিকে যথাযথ এবং পরিপূর্ণ হিসাব রাখতে হয়।
অংশীদারি ব্যবসার হিসাব অংশীদারি আইন অথবা এতদসম্পর্কিত বিষয়ে ফোন চুক্তি থাকলে উক্ত চুক্তিনামার বিভিন্ন ধারা অনুসারে হিসাব রাখতে হয়।
কোম্পানি আইনের নির্ধারিত বিধান অনুযায়ী কোম্পানির হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষণ বাধ্যতামূলক।
ঠিক একইভাবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান মতে হিসাব সংরক্ষণ করতে হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আইনবিদদেরকেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি এবং পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইনের বিধান ও প্রচলিত পদ্ধতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হয়।
তা না হলে তাদের পক্ষে বিরোধ মিমাংসা এবং বিচার কার্য সঠিকভাবে সমাধা করা সম্ভব হয় না।
সুতরাং হিসাববিজ্ঞান এবং আইনশাস্ত্র অত্যন্ত ঘনিষ্টভাবে সম্পর্কিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
“আর পড়ুনঃ” আর্থিক হিসাববিজ্ঞান এবং প্রতিবেদন প্রস্তুতের ধারণাগত কাঠামো আলোচনা করুন।
৩. হিসাববিজ্ঞান এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান (Accounting and Political Science): রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজে আইনের শাসন প্রবর্তন করার মাধ্যমে সামাজিক আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা।
অর্থাৎ রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক কল্যাণ সাধনের পথ নির্দেশনা দান করে।
এজন্য রাষ্ট্রীয় আয়-ব্যয়, রাষ্ট্রীয় উন্নয়নমূলক কাজের ব্যয়, রাষ্ট্রীয় প্রকল্প হতে আয়ের সম্ভাব্যতা ইত্যাদি বিষয়াদি রাষ্ট্রবিজ্ঞান হতে উদ্ভূত হয়।
পক্ষান্তরে এ সকল রাষ্ট্রীয় আয়-ব্যয়ের উপযুক্ত হিসাবনিকাশ সংরক্ষণ করা এবং এতদসম্পর্কে তথ্যাদি সরবরাহ করা হিসাববিজ্ঞানের কাজ।
তাছাড়া সরকারি কর প্রশাসন, আয়কর, বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় তথা যাবতীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ এবং নিরীক্ষাকরণ কার্যক্রম হিসাববিজ্ঞানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
তাই দেখা যায়, হিসাববিজ্ঞানের সঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
হিসাববিজ্ঞানের সাথে অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্কের উপর সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
৪. হিসাববিজ্ঞান এবং পরিসংখ্যান (Accounting and Statistics): আধুনিক ব্যবসায় পরিসংখ্যান এবং হিসাববিজ্ঞানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
এ দুই বিষয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো সংশ্লিষ্ট গাণিতিক রাশিমালাকে সহজবোধ্য ও যুক্তিযুক্ত করে বিবরণী আকারে প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক তথা সংশ্লিষ্ট সকলের ব্যবহারোপযোগী করে প্রকাশ করা।
এর হলে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ কাজ সহজ হয়।
বিভিন্ন ঘটনার পরিসাংখ্যিক উপাত্ত সংগ্রহ করা, শ্রেণীবদ্ধ করা, বিশ্লেষণ করা এবং এসব উপাত্তগুলো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট উপস্থাপন করা পরিসংখ্যানের প্রধান কাজ।
এজন্য একজন পরিসংখ্যানবিদ উপাত্তগুলোকে সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন আকারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট এমনভাবে তুলে দেয় যাতে তারা এসব তথ্যাবলির উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
পক্ষান্তরে, হিসাববিজ্ঞানে আর্থিক লেনদেনগুলো কয়েকটি প্রক্রিয়া পর্যায়ক্রমে সম্পাদনপূর্বক চূড়ান্ত হিসাব ও আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত করা হয় এবং এরূপ হিসাব বিবরণীর বিভিন্ন তথ্যাবলির উপর নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক অথবা পরিচালকগণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
তাই এ দুটি বিষয়ও একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
“আর পড়ুনঃ” হিসাবরক্ষণ ও হিসাববিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য কী? JAIBB
৫. হিসাববিজ্ঞান এবং ব্যবস্থাপনা (Accounting and Management): হিসাববিজ্ঞানের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সম্পর্কযুক্ত বিষয় হলো ব্যবস্থাপনা।
কারণ আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের তথ্যভাণ্ডার হিসাবে ব্যবস্থাপনাকে সম্পূর্ণরূপে হিসাববিজ্ঞানের উপর নির্ভর করতে হয়।
হিসাববিজ্ঞান ব্যবস্থাপকগণকে ব্যবসায়ের সঠিক ও তথ্যভিত্তিক ঘটনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিতে এবং অধিক মুফল লাভের জন্য গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহকে কার্যকরী করার পদক্ষেপ গ্রহণে সাহায্য করে।
ব্যবস্থাপনার কর্মক্ষেত্র ব্যক্তিগত জীবন হতে সমাজ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিব্যাপ্ত। ব্যবসায়ী, অব্যবসায়ী, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভরশীল।
বর্তমান যুগে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও পরিচালনার ক্ষমতা ও দায়িত্ব মালিকের নিকট হতে পেশাজীবী ব্যবস্থাপকদের উপর ন্যস্ত হয়েছে।
এজনা ব্যবস্থাপকগণের যাবতীয় কার্যাবলি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য নিবেদিত হয়।
হিসাব সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থাপনা কারবারের প্রকৃত লাভের পরিমাণ জানতে পারে এবং হিসাব সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে অবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের হার ঘোষণা করে।
হিসাববিজ্ঞান ব্যবস্থাপনাকে কারবারের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, অপচয় রোধ, দৈন ব্যয় নির্ধারণ
হিসাববিজ্ঞানের সাথে অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্কের উপর সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
৬. হিসাববিজ্ঞান এবং গণিতশাস্ত্র (Accounting and Mathematics): গভীরভাবে চিন্তা করলে হিসাববিজ্ঞান গণিতশাস্ত্রেরই একটি শাখা বলে মনে হয়।
অর্থাৎ হিসাববিজ্ঞানের সঙ্গে গণিতশাস্ত্রের যোগসূত্র রয়েছে। ব্যবসার ভাষা হলো হিসাববিজ্ঞান।
কিন্তু হিসাববিজ্ঞানের ভাষা হলো গণিত।
হিসাবের বিভিন্ন পর্যায়ে গণিতের যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
হিসাববিজ্ঞান যাবতীয় লেনদেন ও আর্থিক পরিবর্তনের ঘটনাসমূহ গণিতের ভাষায় তথা অঙ্কের সংখ্যায় প্রকাশ করে।
হিসাববিজ্ঞান কারবার ও অন্যান্য সামাজিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক কার্যফল টাকার অঙ্কে এবং সংখ্যায় প্রকাশ করে।
গণিতশাস্ত্র তার পরিধির বিভিন্ন একক ও কর্মকাণ্ডের সংখ্যাভিত্তিক ফলাফল প্রকাশ করে থাকে।
অর্থাৎ উভয়ের যারা কর্মক্ষেত্রের সংখ্যাগত ও পরিমাণগত মূল্যায়ন কাজ সমাধা হয়ে থাকে।
জাবেদা, খতিয়ান, রেওয়ামিল এবং চূড়ান্ত আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতসহ হিসাববিজ্ঞানের সকল স্তরে গাণিতিক রীতিনীতি প্রয়োগ করা হয়।
এর ফলে হিসাব সংরক্ষণের কার্যাবদি সহজ ও সংক্ষিপ্ত হয়। তাই গণিতশাস্ত্রও হিসাববিজ্ঞানের অবিচ্ছেদ্য একটি অঙ্গ।
“আর পড়ুনঃ” GAAP বলতে কি বুঝায়? আর্থিক বিবরণী তৈরিতে ইহা কিভাবে প্রভাব বিস্তার করে?
৭. হিসাববিজ্ঞান এবং তথ্যপ্রযুক্তি (Accounting and Information Technology): ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারী এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের নিকট সঠিক তথ্য সরবরাহ করাই হিসাববিজ্ঞানের প্রধান কাজ।
তথ্যপ্রযুক্তি তথা সরবরাহের ক্ষেত্রে এনেছে যুগান্তকারী অবসান। তাই তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান থাকা হিসাববিজ্ঞানের জন্য অপরিহার্য।
কারণ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের দ্বারা হিসাববিজ্ঞানের কর্মকাও দ্রুত ও সঠিকভাবে করা সম্ভব হয়।
কম্পিউটারের বিভিন্ন উপাদান ও পরিচালনা, কম্পিউটার সফটওয়ার ও তার প্রয়োগ, কম্পিউটার উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান থাকলে হিসাববিজ্ঞান তথ্য পদ্ধতির নকশা করা, কম্পিউটার নির্ভর পরিবেশে অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ এবং বৈদ্যুতিক উপাত্ত প্রক্রিয়া নিরীক্ষা করা সহজ হয়।
তাই তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে হিসাববিজ্ঞানের সম্পর্ক নিবিড়।
“আর পড়ুনঃ” হিসাববিজ্ঞানের ক্রিয়ামূলক এবং পরিচালনা সংক্রান্ত কার্যাবলি আলোচনা করুন।
হিসাববিজ্ঞানের সাথে অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্কের উপর সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
৮. হিসাববিজ্ঞান এবং প্রকৌশলবিদ্যা (Accounting and Engineering): আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ শাখাগুলোর মধ্যে হিসাববিজ্ঞান এবং প্রকৌশলবিদ্যা অন্যতম।
উৎপাদন এবং নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বিষয় দুটি একই সঙ্গে কাজ করে। উৎপাদনমুখী কারখানায় বিশেষ ধরনের কলকব্জা ও যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়।
এসব কলকব্জা ও যন্ত্রপাত্তি প্রকৌশলবিদ্যায় নিয়োজিত প্রকৌশলীগণ তৈরি করেন।
একটি প্রতিষ্ঠানে কি ধরনের পণ্য উৎপাদিত হবে, কি পরিমাণ পণ্য উৎপাদিত হবে, যন্ত্রপাতি খাতে শুত টাকা ব্যয় হবে ইত্যাদি সম্পর্কে একটি আনুমানিক হিসাবনিকাশ করতে হয়।
এজন্য উৎপাদনমুখী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত উদ্যোক্তা, পরিচালক, ব্যবস্থাপক সবারই প্রকৌশলবিদ্যার জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
হিসাব কর্মকর্তার কাজ হলো ব্যবসায়ের কলকব্জা ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে বিনিয়োজিত অর্থের সঙ্গে অর্জিত ফলাফলের অনুপাত বের করে ব্যবস্থাপনার সামনে বিবরণী আকারে উপস্থাপন করা।
প্রকৌশলবিদ্যার জ্ঞান না থাকলে কলকব্জা ও যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত সঠিক তথ্য পরিবেশ করা হিসাব কর্মকর্তার পক্ষে সম্ভব নয়।
সুতরাং আধুনিক জটিল এবং ব্যাপক উৎপাদনের যুগে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসায় পরিচালনা করে লক্ষ্য অর্জন করতে হলে একই সঙ্গে হিসাববিজ্ঞান এবং প্রকৌশলবিদ্যার জ্ঞান কম বেশি থাকা অত্যাবশ্যক।