অংশীদারি ব্যবসায় কাকে বলে? (What is partnership business)
সাধারণভাবে কয়েকজন ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ হয়ে শরিকানার ভিত্তিতে যে বৈধ ব্যবসায় গড়ে তোলে তাকে অংশীদারি ব্যবসায় বলা হয়।
অংশীদার হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিবর্গ স্বেচ্ছায় চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কের ভিত্তিতে মুনাফা অর্জনের জন্য এরূপ আইনসম্মত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে থাকে।
সাধারণ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অংশীদারদের সংখ্যা হবে ন্যূনতম ২ জন এবং সর্বাধিক ২০ জন কিন্তু ব্যাংকিং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ২ থেকে সর্বাধিক ১০ জন।
অংশীদারি ব্যবসায়ের কতিপয় জনপ্রিয় সংজ্ঞা নিচে দেয়া হলো:
বাংলাদেশে বহাল ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী, “Partnership is the relation between persons who have agreed to share profit of a business carried on by all or any of them acting for all.” অর্থাৎ অংশীদারি হলো কতিপয় ব্যক্তির মধ্যে বিদ্যমান চুক্তিবদ্ধ সম্পর্ক, যার উদ্দেশ্য হলো সকলের দ্বারা অথবা সকলের পক্ষে একজনের দ্বারা পরিচালিত ব্যবসায়ের মুনাফা নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেওয়া।
“আর পড়ুনঃ” অংশীদারি কারবারের আর্থিক বিবরণী কী?
Prof. S.E. Thomas-এর মতে, “A partnership is an association of people who carry on business together for the purpose of making profits. অর্থাৎ অংশীদারি ব্যবসায় হলো কতিপয় ব্যক্তির গড়া একটি সংঘ বা সমিতি, যার উদ্দেশ্য হলো সম্মিলিতভাবে ব্যবসায় করে মুনাফা অর্জন করা।
“আর পড়ুনঃ” ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সমচ্ছেদ বিশ্লেষণের কোনো প্রয়োজন আছে কি?
Mr. Pearson-,এর মতে “Partnership is the combination by two or more persons of capital For labour on skill for the purpose of business for common benefits. অর্থাৎ সাধারণ সুবিধা অর্জনের লক্ষ্যে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি নিজস্ব পুঁজি, শ্রম বা দক্ষতা একত্র করে ব্যবসায় গঠন করলে তাকে অংশীদারি ব্যবসায় বলা হবে।
অংশীদারি ব্যবসায় কাকে বলে?
উপরিউক্ত সংজ্ঞাসমূহ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, অংশীদারি ব্যবসায় মুনাফা অর্জন ও অর্জিত মুনাফা নিজেদের মধ্যে বণ্টনের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়।
তাই কয়েকজন মিলে গানের দল গঠন করা হলে তাকে অংশীদারি ব্যবসায় বলা যাবে না।
আবার কতিপয় ব্যক্তি যৌথভাবে ব্যবসায় গঠন করে অর্জিত সম্পূর্ণ মুনাফা গরিব দুঃস্থদের মধ্যে বণ্টন করলে তাকেও অংশীদারি ব্যবসায় বলা যাবে না।