আন্তর্জাতিক হিসাবমান (International Accounting Standard)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিভিন্ন দেশের পারস্পরিক সহযোগিতায় Joint Venture-এ বিভিন্ন শিল্প-কারখানা স্থাপিত হয়েছে। তাই এ সকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের স্বার্থ জড়িত হয়ে পড়ে। কিন্তু দেশীয় রীতি অনুসারে হিসাব প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হলে সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকগণ এর দ্বারা উপকৃত হবে। কিন্তু সকল দেশের হিসাব সংক্রান্ত নীতিমালা এক রকম নয়। তবে এক্ষেত্রে একমাত্র আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতিমালা অনুসরণ করে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করলে বিভিন্ন দেশের প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে সমরূপতা বজায় থাকবে। আর এ লক্ষ্যেই ১৯৭৩ সালে ইংল্যান্ডে বিশ্বের ১৬টি দেশের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক হিসাব মান নির্ণায়ক কমিটি নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়, যাকে International Accounting Standard Committee সংক্ষেপে IASC বলে। এর প্রধান দপ্তর লন্ডনে অবস্থিত। বর্তমানে বিশ্বর ৮৪টি দেশের ১১৬টি হিসাব পেশাজীবী সংগঠন এ IASC-এর সঙ্গে জড়িত। আন্তর্জাতিক হিসাব মান কমিটি প্রতিবছর হিসাব রক্ষণের প্রয়োগ ও নীতি সংক্রান্ত যে সব মান প্রকাশ করে তাহাদেরকে আন্তর্জাতিক হিসাব মান বলে।