দু’ঘরা নগদান বই বলতে কী বুঝেন? দু’ঘরা নগদান বই-এর প্রস্তুত প্রণালী বর্ণনা করুন।

দু’ঘরা নগদান বই বলতে কী বুঝেন? দু’ঘরা নগদান বই-এর প্রস্তুত প্রণালী বর্ণনা করুন। (What do you mean by double column cash book? Discuss the preparation of double column cash book.)

দু’ঘরা নগদান বই: দু’ঘরা নগদান বই বলতে বুঝায় নগদান বইয়ের উভয়দিকে নগদ ও ব্যাংক এ দু’টি টাকার ঘর থাকে।
নগদ ও ব্যাংক সংক্রান্ত লেনদেনগুলো পৃথকভাবে লিপিবদ্ধ করার জন্য দু’ঘরা নগদান বইয়ের প্রয়োজন পড়ে।
একঘরা নগদান বইতে ব্যাংক সংক্রান্ত লেনদেনগুলো লিপিবদ্ধকরণে অনেক জটিলতা দেখা দেয়।
এ জটিলতা দূর করার উদ্দেশ্যেই দু’ঘরা নগদান বই প্রস্তুত করা হয়। সুতরাং যে নগদান বইয়ে নগদ ও ব্যাংক সংক্রান্ত লেনদেন লিপিবন্ধ করার জন্য উভয়দিকে দু’টি টাকার ঘর থাকে তাকে দুর্ঘরা নগদান বই বলা হয়।
এ বইয়ের ডেবিট দিকে নগদ প্রাপ্তি ও ব্যাংক জমা এবং ক্রেডিট দিকে নগদ ও চেকের মাধ্যমে প্রদান লেখা হয়।

দু’ঘরা নগদান বই-এর প্রস্তুত প্রণালী

দু’ঘরা নগদান বই লেখার প্রস্তুত প্রণালী: দু’ঘরা নগদান বই লেখার প্রস্তুত প্রণালী নিম্নরূপ :
১. ছক তৈরি: দু’ঘরা নগদান বই-এর ছক তৈরি করতে হবে। এ ছকে ডেবিট এবং ক্রেডিট দুটি দিক থাকবে। ডেবিট দিকে ৬টি এবং ক্রেডিট দিকে ৬টি মোট ১২টি ঘর থাকবে।
২. শিরোনাম লেখা: ছকের ঘরগুলোর শিরোনাম লিখতে হবে। ডেবিট এবং ক্রেডিট উভয় দিকে বাম দিক থেকে প্রথম ঘরে তারিখ, দ্বিতীয় ঘরে বিবরণ, তৃতীয় ঘরে রসিদ নম্বর, চতুর্থ ঘরে খঃ পৃঃ, পঞ্চম ঘরে নগদ টাকা এবং শেষ ঘরে ব্যাংকের টাকা লিখতে হবে।
৩. তারিখের ঘর: লেনদেনের তারিখ তারিখের ঘরে লিখতে হবে।
৪. বিবরণ ঘর: লেনদেনের হিসাবের খাত বা হিসাবের নাম বিবরণ ঘরে লিখতে হবে।
৫. খতিয়ান পৃষ্ঠা (খঃ পৃঃ): নগদান হিসাব ছাড়া লেনদেনের অন্য হিসাবটি খতিয়ানের যে পৃষ্ঠায় আছে ঐ পৃষ্ঠার নম্বর ঃ পূঃ ঘরে দিতে হবে।
৬. রসিদ নম্বর: টাকা প্রাপ্তি ও টাকা প্রদানের বিস্তারিত বিবরণের রসিদ বা ভাউচারের নম্বর এ ঘরে লিখতে হবে।
৭. টাকার ঘর : ডেবিট দিক : সকল প্রকার নগদ প্রাপ্তির টাকা, চেক প্রাপ্তি যদি সাথে সাথে ব্যাংকে জমা দেয়া না হয়। তাহলে নগদ কলামের ডেবিট দিকে লিখতে হবে। যে-কোনো ধরনের ব্যাংকে জমা, ব্যাংক কর্তৃক মঞ্জুরীকৃত সুদ ব্যাংক কলামের ডেবিট দিকে লিখতে হবে।

“আর পড়ুনঃ” একঘরা নগদান বই বলতে কী বুঝেন? একঘরা নগদান বইয়ের প্রস্তুত প্রণালী বর্ণনা করুন।

ক্রেডিট দিক: সকল প্রকার নগদ প্রদান বা নগদ টাকা, ব্যাংকে জমা নগদান বইয়ের ক্রেডিট দিকে বসবে। চেকের মাধ্যমে সকল প্রকার পরিশোধ এবং অফিসের জন্য নগদ টাকা উত্তোলন এবং ব্যাংক চার্জ ব্যাংক কলামের ক্রেডিট দিতে বসবে। এছাড়া চেক অমর্যাদা হলে ব্যাংক কলামের ক্রেডিট দিকে বসবে।

৮. সমাপনী ব্যালেন্স নির্ণয়: নগদ এবং ব্যাংক কলামের উভয় দিক যোগ করে সমাপনী ব্যালেন্স নির্ণয় করতে হবে। নগদ কলামের সমাপনী ব্যালেন্স অবশ্যই ডেবিট ব্যালেন্স হবে। ব্যাংক কলামের ডেবিট অথবা ক্রেডিট উভয় ব্যালেন্স হতে পারে।

About Post Author

Related posts