Periodicity এবং Economic entity অনুমান ব্যাখ্যা করুন।
Periodicity অনুমান: এটি অনুমান বা ধারণা অনুসারে আয়-ব্যয় বা লাভ-ক্ষতির নীট ফলাফল ও আর্থিক অবস্থা নির্ণয়ের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের অনির্দিষ্ট ও অনন্ত জীবনকালকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমান অংশে বিভক্ত করা হয়।
এ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সময়কালকে হিসাবকাল (Accounting period) বলা হয়।
ব্যবসাকে একটি দীর্ঘ ও অনির্দিষ্টকাল ধরে চলমান প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনে করা হয়। কিন্তু এ দীর্ঘ অনির্দিষ্টকাল শেষ হলেই হিসাব নিকাশ করা হবে- তা কাম্য নয়।
কারণ মালিকও একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর ব্যবসার লাভ-লোকসান ও আর্থিক অবস্থা জানতে চায়।
এ জন্যই প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকাল ধরে চলবে এ ধারণা করা হলেও আর্থিক অবস্থা নির্ণয় করা হয়।
হিসাববিজ্ঞানের এ অনুমান ও দারণাকে হিসাবকাল অনুমান বলা হয়। এ হিসাবকাল এক বছর, ছয় মাস বা তিন মাসের অধিক হতে পারে।
তবে হিসাবকাল সাধারণত ১২ মাস বা ১ বছরের হয়ে থাকে।
হিসাবকাল শেষে প্রতিষ্ঠানের লাভ-ক্ষতি ও আর্থিক অবস্থা বা সম্পত্তি ও দায় জানার জন্য যথাক্রমে লাভ-লোকসান হিসাব বা আয় বিবরণী এবং উদ্ধতপত্র প্রস্তুত করা হয়।
ফলে এ হিসাবকালের সাথে অন্য হিসাবকালের আর্থিক ফলাফল ও অবস্থা তুলনা করে প্রতিষ্ঠানেরই সফলতা ও ব্যর্থতা জানা যায় ।
Economic entity অনুমান এ অনুমান বা ধারণা অনুযায়ী হিসাব নিকাশের সময় অনুমান করা হয় যে, প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আলাদা সত্তা রয়েছে।
মালিক ও অন্যান্যদের সাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যে সম্পর্ক তা হলো ব্যবসায়িক সম্পর্ক।
মালিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যে অর্থ বিনিয়োগ করে অর্থাৎ যে পরিমাণ মূলধন প্রদান করে তা মালিকের নিকট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
মালিকের নিকট এ দায়কে অন্তঃদায় বলা হয়। সত্তা অনুমান বা ধারণার কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মোট সম্পত্তির পরিমাণ মোট দায় ও মালিকানা স্বত্বের সমষ্টির সমান হয়ে থাকে।
কারণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তার মালিক ও তৃতীয় পক্ষের (যদি পাওনাদার ও ঋণ থাকে) নিকট হতে প্রাপ্ত অর্থ বা সেবা সম্পত্তিতে রূপান্তর করে গচ্ছিত রাখে।
ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সৃষ্টি হয় নিচের হিসাব সমীকরণটি:
মোট সম্পত্তি = মালিকানা স্বত্ব (অনন্তঃদায়) + দায় (বহির্দায়)