জমি জমা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কিছু সংজ্ঞা
জমি: জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ২(১৬) ধারা অনুসারে জমি বা ভূমি বলতে চাষ করা হয়, চাষ করা হয় না অথবা বছরের কোন সময় জলমগ্ন থাকে এরূপ এবং উহা হতে উৎপন্ন লাভকে বুঝায়। বাড়ি-ঘর, দালান-কোঠাসহ মাটির সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য জিনিস বা মাটির সঙ্গে সংযুক্ত কোন জিনিসের সঙ্গে স্থায়ীভাবে আটকানো কোন জিনিস ভূমির অন্তর্গত।
স্থাবর সম্পত্তি: জেনারেল ক্লজেজ এ্যাক্ট, ১৮৯৭ এর ২(২৬) উপধারা অনুসারে কোন জমি, জমি হতে প্রাপ্ত লাভ এবং জমির সঙ্গে সংযুক্ত যে কোন বস্তুই হলো স্থাবর সম্পত্তি।
বসতবাটিঃ স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ব্যবহৃত আবাস বা গৃহ, গৃহের প্রাঙ্গণ, বাগান, পুকুর এবং আবাসস্থলের চৌহদ্দির মধ্যে অবস্থিত অন্যান্য সংলগ্ন স্থাপনাকে বলে বসতবাটি ।
সম্পত্তি: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫২ এর (১) উপ-অনুচ্ছেদ অনুসারে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিসহ সকল বস্তুগত, অবস্তুগত, বাণিজ্যিক ও শিল্পগত উদ্যোগ বা উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে কোন স্বত্ব বা ইহার অংশকে বলে সম্পত্তি।
নক্শা: নক্শা হলো কোন মৌজাভুক্ত ভূমির বাস্তব চিত্র বা ভূ-চিত্র।
মৌজা: মৌজা হলো জরিপের একটি ভৌগলিক ইউনিট। একটি ইউনিয়নকে কয়েকটি ভৌগলিক ইউনিটে ভাগ করে জরিপ করা হয়, এরূপ প্রতিটি ইউনিটকে মৌজা বলে।
জেএল নংঃ উপজেলার অন্তর্গত মৌজাসমূহের পরিচিতমূলক ক্রমিক নম্বরকে বলে জেএল নম্বর বা জুরিসডিকশন লিস্ট নম্বর।
তৌজিঃ ১৭৯৩ সনে প্রবর্তীত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তীয় ভূমি চিহ্নিত করার জন্য কালেক্টরীতে যে রেজিস্টার সংরক্ষণ করা হতো তাকেই বলে তৌজি। প্রত্যেক তৌজির ক্রমিক নম্বর থাকতো। জমিদারের অধীনে প্রজার জোতকেও তৌজি বলা হতো। বর্তমানে জরিপের সুবিধার্থে প্রতিটি ইউনিয়নকে এক একটি নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা হয় তাই বর্তমানে প্রতিটি ইউনিয়নই হলো তৌজী আর ইউনিয়নের জরিপ বিষয়ক ক্রমিক নম্বরই হলো তৌজী নম্বর।