মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট (VAT)
যে কোন দেশের রাজস্ব আয়ের মূল উৎস হল কর ব্যবস্থা।
একটি দেশের সরকারকে তার দেশের জন্য প্রচুর জনহিতকর কার্যক্রম সম্পাদন করতে হয়। তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর অর্থের।
সরকার জনগণের কাছ থেকে কর আদায়ের মাধ্যমে এ অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যবস্থায় নতুন সংযোজন হল ভ্যাট।
রাজস্ব আয়ের একটি বৃহৎ অংশই আসে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে।
যে কোনো দেশের অর্থনীতিতে ভ্যাট গুরুত্বপূর্ণ পালন করে।
ভ্যাট: ভ্যাট (VAT) শব্দটির পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো Value Added Tax বা মূল্য সংযোজন কর বা সংক্ষেপে ‘মূসক’।
কোন উৎপাদিত পণ্য বা সেবার সংযোজিত মূল্যের উপর যে কর প্রদান করা হয়, তাকে মূল্য সংযোজন কর বা Value Added Tax (VAT) বলে ।
পণ্য বা সেবাকে ভোক্তা বা ব্যবহারকারী উপযোগী করার লক্ষ্যে উৎপাদনকারী বা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, কাঁচামাল বা উপকরণের সাথে মজুরি পরিবহন, বিদ্যুৎ খরচ, কারখানার উপরিখরচ, আমদানি শুল্ক, ঋণকৃত মূলধনের সুদ ইত্যাদি বাবদ যে মূল্য সংযোজন করে তাকে মূল্য সংযোজন বলে। আর এ সংযোজিত মূল্যের উপর যে পরিমাণ কর প্রদান করা হয় তাকে মূল্য সংযোজন কর বা VAT বলে। একটি উদাহরণের মাধ্যমে এ বিষয়টিকে যথাযথাভাবে উপস্থাপন করা যেতে পারে। ধরা যাক, একজন শার্ট প্রস্তুতকারী একটি শার্ট তৈরি করার জন্য ৩০০ টাকার কাপড় ক্রয় করে। কাপড় কেটে শার্ট বানানোর জন্য সে কাপড় সেলাইকারীকে ১০০ টাকা এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক দ্রব্যাদি ক্রয় বাবদ ৫০ টাকা প্রদান করে। শার্ট প্রস্তুতকারী এ শার্টের উপর ৫০ টাকা লাভ ধার্য করে। এক্ষেত্রে শার্ট তৈরির উপকরণ ব্যয় ৩০০ টাকা এবং উপকরনের সাথে সংযোজিত মূল্য (১০০+৫০+৫০) = ২০০ টাকা। এ সংযোজিত মূল্য ২০০ টাকার উপর বর্তমানে প্রচলিত ১৫% হারে ৩০ টাকা কর প্রদান করতে হয়। এই ৩০ টাকা করকেই মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট (VAT) বলে ।