সবুজ ব্যাংকিং (Green Banking)
কল-কারখানায় আর্বন নিঃশরণ সম্ভাব্য ন্যূনতম পর্যায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ‘গ্রীণ ব্যাংকিং অ্যাপ্রোচ গ্রহণের জন্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর পরিপালনের জন্য দিক নির্দেশনামূলক পরিপত্র জারি করেছে এবং এ নির্দেশনা পরিপালনের বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে।
গ্রীণ ব্যাংকিং এর আওতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে স্বল্প সুদে ২০০কোটি টাকার একটি মডেল পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
সেই কর্মসূচীর আওতায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলেকে ইতোমধ্যে ১১২ কোটি টাকা পুন:অর্থায়ন সুবিধা দেয়া হয়েছে।
সৌর প্যানেল স্থাপনসহ পরিবেশবান্ধব খাতে অর্থায়নে কেবল ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা প্রদানই নয় বরং বাংলাদেশ ব্যাংকের ছাদেও ২০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পুরানো ভবনগুলোতেও সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জ্বালানি ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি, বৃষ্টির পানি ব্যবহার, ব্যবহৃত পানির পুর্ণব্যবহারসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোগে বরগুনা জেলার ফুলতালায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে দেশের প্রথম সৌরশক্তি চালিত সেচ প্রকল্প উদ্ভোধন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে উক্ত এলাকার প্রায় এক হাজার বিঘা জমির সেচ কাজ চলছে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এ প্রকল্পে সাফল্যজনক সম্প্রসারণ ঘটলে সেখানে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়বে বলে আশা করা যায়।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিশ্বে পরিবেশ আজ বিপন্ন। পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে এ পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখা মানব সমাজের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।
দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকও পরিবেশ সংরক্ষণে যত্নশীল।
পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুসরণের জন্যে নীতিমালা ও গাইডলাইন্স জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে ঋণ দেয়ার নতুন সিএসআর অঙ্গীকার নিয়ে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের পুন:অর্থায়নের আওতায় সৌরশক্তি, বায়োগ্যাস, বায়ো-জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন, ইটিপিসহ নানামূখী পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে ঋণ দিতে এগিয়ে এসেছে।