সংখ্যা পদ্ধতি (Number System) কাকে বলে? সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ
যে পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা করা হয় বা প্রকাশ করা হয়, তাকে সংখ্যা পদ্ধতি (Number System) বলে।
এ সকল সংখ্যাকে বিভিন্ন গাণিতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় গণনার কাজ করা হয়।
কীভাবে সংখ্যা পদ্ধতির উদ্ভব ঘটে?
২-এর পরিপূরক কাকে বলে? ২-এর পরিপূরকের গাণিতিক কাজ
সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ গণনার জন্য হাত-পায়ের আঙুল, পাথর, নুড়ি, ঝিনুক, দড়ির গিঁট, গুহার গায়ে বিশেষ চিহ্ন ইত্যাদি ব্যবহার করত। সহজ পদ্ধতিতে গণনা করার জন্য মানুষ খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ অব্দে অ্যাবাকাস নামক এক ধরনের যন্ত্র সংখ্যা পদ্ধতির প্রচলন শুরু হয়। আর এর বাস্তব রূপ প্রদান করেন বিজ্ঞানী আল খারিজমি।
সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ (Classification of Number System)
সংখ্যা পদ্ধতিকে সাধারণত চারভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন–
১. ডেসিমাল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি
২. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
৩. অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি
৪. হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি।
১. ডেসিমাল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি : প্রাচীন ভারতে দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির প্রচলন প্রথম শুরু হয় বলে একে হিন্দু সংখ্যা পদ্ধতিও বলা হয়।
২. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি : বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি একটি সংখ্যা পদ্ধতি যাতে সকল সংখ্যাকে কেবলমাত্র ০ এবং ১ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এই সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি দুই। ডিজিটাল ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির লজিক গেটে এই সংখ্যাপদ্ধতির ব্যাপক প্রয়োগ রয়েছে। তাছাড়া প্রায় সকল আধুনিক কম্পিউটারে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। বাইনারি পদ্ধতিতে প্রতিটি অঙ্ককে বিট বলা হয়।