আযানের সময় মাথায় কাপড় দিতে হয় কেন

আযানের সময় মাথায় কাপড় দিতে হয় কেন

আযানের সময় মাথায় কাপড় দিতে হয় কেন

আজান ইসলামের একটি অন্যতম নিদর্শন। এর জন্য সুন্নতি দিক-নির্দেশনা রয়েছে। যেমন আজানের জওয়াব দেওয়া,
আজানের পর দরুদ ও দোয়া পাঠ করা ইত্যাদি। আমাদের দেশের অনেক মা-বোনকে দেখা যায়,
আজানের ধ্বনি শোনা মাত্র তারা মাথায় কাপড় দেন।

অনেকেই আছেন সব সময় মাথায় কাপড় দেন না। কিন্তু আজানের সময় মাথায় কাপড় দেন।
আজান শেষ হলে মাথার কাপড় নামিয়ে ফেলেন।
জিজ্ঞেস করলে বলেন আজানের সময় মাথায় কাপড় না দিলে শ’য়’তান চুলের ফাঁকে এসে আশ্রয় নেই।
এ কথা কতটুকু সত্য, এ সম্পর্কে ইসলামের বক্তব্য নিচে তুলে করা হলো-

নারীদের মাথা ঢেকে রাখা এবং মাথায় কাপড় দেয়া আজান সংশ্লিষ্ট বিষয় নয়। বরং নারীদের মাথায় কাপড় সব সময় থাকা উচিত।
কেন না মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তারা যেন তাদের জিলবাবের কিয়দংশ নিজেদের ওপর টেনে দেয়।‘

জিলবার অর্থ হাত, পা, মাথা, সমস্ত শরীর ডেকে রাখার মতো কাপড়। (সূরা :আহজাব, আয়াত : ৫৯)।
পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে নারীদের পর্দা বা হিজাবের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, শুধুমাত্র লম্বা চাদর বা আবরণ যথেষ্ট নয় বরং মুমিন কন্যা ও নারীরা এমন পোশাক পরিধান করবে যাতে চুলসহ

তাদের সমস্ত শরীর ঢেকে থাকে। শরীর বা চুলের কোনো অংশ বাইরে বের করে রাখা যাবে না।
পোশাক পরিধান করলে তোমরা পবিত্র আত্মার নারী হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং দু’ষ্ট লোকদের দ্বারা নি’পী’ড়’ন বা উ’ত্য’ক্ত হওয়ার হাত থেকে র’ক্ষা পাবে।

কোনো খারাপ লোক পুরো শরীর আবৃত কোনো নারীর সম্মানহা’নি করতে যাবে না। (১) হিজাবের উদ্দেশ্য হচ্ছে কু-দৃষ্টি, ই’ভ’টি’জিং ও মর্যাদা হানিকর আচরণ থেকে নারীকে র’ক্ষা করা।
কাজেই হিজাব নারীর জন্য কিছুটা সীমাবদ্ধতা তৈরি করলেও এটি তার নি’রা’প’ত্তা নিশ্চিত করে।

(২) আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূলের নির্দেশ হচ্ছে ইসলামি সমাজে সবার পবিত্রতা ও সম্মান র’ক্ষা করা এই নির্দেশ পালনের জন্যই নারীকে ঘর থেকে বাইরে বের হলে উপযুক্ত পোশাক পরিধান করতে হবে।
(৩) ইসলাম নারীকে ঘরের মধ্যে পুরোপুরি আ’ট’কে থাকতে বলেনি।

আযানের সময় মাথায় কাপড় দিতে হয় কেন

বরং হিজাব পরিধান করে তারা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেন। আর নারীরা আজানের সময় যে ভাবে মাথা ঢেকে নেন,
এটা মূলত আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। যদি কোনো নারীর বাসা-বাড়িতে অসতর্কাবস্থায় মাথায় কাপড় না থাকে।

তবে আজানের সময় সে যদি স’ত’র্ক হয় এবং মাথায় কাপড় টেনে নেয়।
তা হলে এটা ঈমান ও আল্লাহ-ভীতির পরিচায়ক। কেননা আজান আল্লাহ তায়ালার বড়ত্ব ও মহত্ত্বসংবলিত কিছু বাক্যের সমষ্টি।

যা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ‘শিআর’ তথা প্রতীক। পবিত্র কোরআনে এসেছে,
‘কেউ আল্লাহর প্রতীকে সম্মান প্রদর্শন করলে সেটা তো তার হৃদয়ের খোদাভীতিপ্রসূত।’ (সূরা : হজ, আয়াত : ৩২)।

রোগ বালাই থেকে আশ্রয় প্রার্থনার আমল

বর্তমানে চীন দেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া ক’রো’না’ভাই’রাস থেকে আত্নর’ক্ষা বা আশ্রয় প্রার্থনার জন্য বেশি বেশি দরুদ ও দোয়া পড়তে থাকুন।
প্রথমেই ‘সমস্ত প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার জন্য।দরুদ ও সালাম প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি যিনি রহমাতুল্লিল আলামিন,

তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) এবং সালেহীন (রহ.)-দের প্রতি। আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,
আল্লাহ ছাড়া কোনো (মাবুদ) ইলাহ নাই। আমরা আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর বান্দাহ ও রাসূল। রো’গ বালাই থেকে আশ্রয় প্রার্থনার জন্য নিম্নের দোয়াটি পড়তে থাকুন,

আরবি: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ، وَالْجُنُونِ، وَالْجُذَامِ، وَمِنْ سَيِّئِ الأَسْقَامِ উচ্চারণ: আল্লা হুম্মা ইননী আঊ জু বিকা মিনাল বারাস্বি ওয়াল যুজা মি ওয়াল যুনূ নি ওয়া সায়্যিউল আসক্বাম। অর্থ: হে আল্লা হ! আমি আপনার নিকট শ্বেতী (কুষ্ঠ), পাগলামি, কুষ্ঠ ও সব অ’নি’ষ্ট রো’গ বালাই থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নম্বর: ১৫৫৪)।

আযানের সময় মাথায় কাপড় না দিলে কি হয়,আজানের সময় মাথায় কাপড়

About Post Author

Related posts