কনিক্যাল ফ্লাস্কের ব্যবহার পদ্ধতি। Erlenmeyer flask
আয়তনমিতিক বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে কনিক্যাল ফ্লাস্কে টাইট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
কনিক্যাল ফ্লাস্ক ব্যবহারের পূর্বে এটিকে ভালো করে সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
পিপেটের সাহায্যে কোন দ্রবণের(টাইট্রেট) নির্দিষ্ট আয়তন কনিক্যাল ফ্লাস্কে নিতে হবে।
এই দ্রবণের মধ্যে দু-এক ফোঁটা উপযুক্ত নিদের্শক যোগ করে নিতে হবে।
এরপর কনিক্যাল ফ্লাস্কের উপরের দিকটি ডান হাত দিয়ে ধরে বাম হাতে ব্যুরেটের স্টপ কর্ক খুলে প্রয়োজনীয় টাইটারকে কনিক্যাল ফ্লাস্কে যোগ করতে হবে।
ডান হাত দ্বারা ফ্লাস্ককে এমনভাবে ঝাঁকাতে হবে যেন কনিক্যাল ফ্লাস্কের ভিতর সমস্ত তরল সুষমভাবে আলোড়িত হয়।
ফ্লাস্কটি ঝাঁকানোর সময় কোন অবস্থাতেই যেন এটি ব্যুরেটের সুচালো প্রান্তকে আঘাত না করে।
এভাবে প্রতিটি টাইট্রেশন শেষ করার পর কনিক্যাল ফ্লাস্ককে অবশ্যই ভালোভাবে পানি দ্বারা ধুয়ে নিতে হবে।
কনিক্যাল ফ্লাস্কে তাপ দেওয়ার প্রয়োজন হলে এটিকে ত্রিপদী স্ট্যান্ডের উপর তারজালি রেখে তার উপর কনিক্যাল ফ্লাস্কটিকে বসিয়ে বার্নারের জারণ শিখায় উত্তপ্ত করতে হবে।
উত্তপ্ত অবস্থায় ফ্লাস্কটিকে ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আনা যাবে না বা খালি হাতে স্পর্শ করা যাবে না। ঠান্ডা করার প্রয়োজন হলে কনিক্যাল ফ্লাস্কটিকে তারজালি হতে টেবিলে নামিয়ে ধীরে ধীরে ঠান্ডা করতে হবে।
সবশেষে কনিক্যাল ফ্লাস্কটি ভালো করে পরিষ্কার করে সংরক্ষন করতে হবে।