কারক কাকে বলে? কারক কত প্রকার ও কি কি?
বাক্যে ক্রিয়াপদের সাথে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের যে সম্পর্ক থাকে,
তাকে কারক বলে।
কারকের প্রকারভেদ
কারক ছয় প্রকার। যথা–
ক) কর্তৃকারক,
খ) কর্মকারক
গ) করণ কারক,
ঘ) সম্প্রদান কারক,
ঙ) অপাদান কারক ও
চ) অধিকরণ কারক।
ক. কর্তৃকারক : যে কাজ করে তাকে কর্তা বা কর্তৃকারক বলে।
যেমন– আমি স্কুলে যাই। এখানে ‘আমি’ কর্তৃকারক।
খ. কর্মকারক : কর্তা যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে।
যেমন– রহিম বল খেলে, অর্পি বই পড়ে। এখানে ‘বল’ এবং ‘বই’ কর্মকারক।
গ. করণ কারক : কর্তা যার সাহায্যে বা যাকে দিয়ে ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে করণ কারক বালে। যেমন– আমরা চোখ দিয়ে দেখি, আমরা কলম দিয়ে লিখি। এখানে ‘চোখ দিয়ে’ এবং ‘কলম দিয়ে’-এ শব্দগুলাে করণ কারক।
ঘ. সম্প্রদান কারক : যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে কোনাে কিছু দান করা হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলে। যেমন– ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও, অন্ধজনে দয়া কর। এখানে ‘ভিক্ষুককে’ এবং ‘অন্ধজনে’ সম্প্রদান কারক।
ঙ. অপাদান কারক : যা হতে কোনাে কিছু চলিত, পতিত, গৃহিত, উৎপন্ন, নির্গত ইত্যাদি বুঝায় তাকে অপাদান কারক বলে। যেমন– মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়, তিল থেকে তৈল হয়। এখানে ‘মেঘ’ এবং ‘তিল’ অপাদান কারক।
চ. অধিকরণ কারক : ক্রিয়া যে স্থানে, যে সময়ে বা যে বিষয়ে সম্পন্ন হয়, তাকে অধিকরণ কারক বলে। যেমন– পুকুরে মাছ আছে, বসন্তে কোকিল ডাকে। এখানে ‘পুকুর’ এবং ‘বসন্তে’ অধিকরণ কারক।