এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।

এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।

মূলভাবঃ মানুষের আকাঙ্ক্ষার শেষ নেই। যত পায় তত চায়-ততই আরও পাবার বাসনা জাগে। এ বাসনা থেকে লোভের বশবর্তী হয়ে একসময় জন্ম নেয় কু-প্রবৃত্তি। অসংযত ভোগাকাঙ্কা তখন অন্যের জন্য সবনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সম্প্রসারিত ভাবঃ পৃথিবীতে সম্পদের পরিমাণ নিদিষ্ট কিন্তু মানুষের ভোগাকাঙ্কা অসীম। পাওয়া মাএা বাড়ায় সঙ্গে সঙ্গে চাওয়ার মাএাও বেড়ে যায়৷ লালসা তখন তীব্র হয়ে বিবেকের টুটি চেপে ধরে, মানবিক আচার-বিচার না মেনে কু-প্রবৃতির আশ্রয় নিয়ে স্বীয় হীন আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার জন্য মেতে ওঠে৷ ভোগাকাঙ্কার নিবৃত্তির রসদ ছাড়া অন্য কিছু তার চোখে পড়ে না। সম্পদ, প্রতিপত্তি এবং নিজস্ব পেশিশক্তির জোরে অপরের সম্পতি কেড়ে নেবার পাঁয়তারা করে। এ সবগ্রাসী আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে যারা থাকে তারা নিতান্তই সহজ সরল জীবন যাপনের অভ্যস্ত। দুদমনীয় লোভাকাঙ্কা ও ঐশ্বর্যের মোহ মানুষকে কোথাও নিয়ে যেতে পারে না তার প্রমাণ ও ইতিহাস অজস্র। ক্ষমতালিপ্সু হিটলার, মুহাম্মদ বিন তুঘলক এর মতো ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষকপ ভিক্ষুকে পরিণত করেছিল। ক্ষমতালিপ্সু উদ্ধব সম্রাটগণ একের পর এক রাজ্য জয় করে দরিদ্রের শেষ সম্বলটুকুর দিকে শ্যেনদৃষ্টি দিতে কসুর করেনি। আজ একবিংশ শতাব্দীর ঊষালগ্নেও আমরা দেখতে পাই সভ্যতার শীর্ষস্থান আবদারকারী দেশগুলো আরো প্রাচুয়ের জন্য হাত বাড়ায় অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী দেশের দিক। নির্লজ্জভাবে পদানত করে মানবতা ও মানুষের মৌলিক অধিকার।পুঁজিবাদী মানসিকতা ক্রমাগত মানুষের বাঁচার অধিকার করছে হুমকির সম্মুখীন।

মন্তব্যঃ সর্বগ্রাসী ও কুটিল মানসিকতা কখনো মানুষ কে সত্য -সুন্দর পথ দেখাতে পারে না। যার ফলে মানবতার পতন হচ্ছে আশাঙ্কাজনকভাবে। সবাত্নকভাবে এদের প্রতিরোধ করা দরকার, নতুবা সভ্যতার বিনাশ অনিবার্য হয়ে উঠবে।

About Post Author

Related posts