দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য?
উত্তরঃ বিদ্যা এবং চরিত্র মানব জীবনে মূল্যবান সম্পদ। বিদ্বানের সংঘ কল্যাণকর কিন্তু বিদ্বান অথচ চরিত্রহীন এমন ব্যক্তি সংঘ কখনোই মঙ্গল জনক নয়, এদের সংঘ সর্বদায় পরিত্যাজ্য।বিদ্বান ব্যক্তি পৃথিবীর সর্বত্রই সম্মানিত।বিদ্বান ব্যক্তি জ্ঞানী লোকের সংস্পর্শে এলে সকলেরই মন আলোকিত হয়। তদুপরি যদি তিনি সৎ চরিত্রবান হন তবে তার চরিত্র মাধুর্য সকলকে মুগ্ধ করে,তিনি সকলের ভক্তি ও শ্রদ্ধার প্রাএ হন। আর যদি বিদ্বান ব্যক্তি চরিত্রহীন হন তখন অশ্রদ্ধার পাত্র হন। কেউ সহজে তার সঙ্গে মিশতে চায় না,কথাবার্তা এমনিকি চলাফেরাও করতে চায়না। সকলেই তার কাছ থেকে দূরে থাকে।কারণ চরিত্রহীন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্য ও হীন স্বার্থ হাসিলে তৎপর থাকে তিনি তখন অশিক্ষিত ও দুর্জন ব্যক্তির মতো যে কোন অন্যায় কাজ করতে দ্বিধা করেন না। এ ধরনের ব্যক্তির সাহচর্য পেলে নিজ চরিত্র ও কলুষিত হতে পারে। তাই চরিত্রহীন বিদ্বান ব্যক্তির সাহচর্য আমাদের কাম্য নয়। বিষধর সাপের মাথায় মহামূল্যবান মনি থাকে, তাই বলে মনি লাভের নিমিত্তে বিষধর সাপের কাছে গেলে মৃত্যুর আশঙ্কা ও থাকে। তেমনই বিদ্বান অথচ চরিত্রহীন ব্যক্তির সাহচর্যে গিয়ে বিদ্যালাভ করলে বিপদও হতে পারে। সমাজের ঘৃণিত ও নিন্দনীয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সাধনা করে অর্জন করা বিদ্যাও অর্থহীন হয়ে পড়তে পারে। তাই চরিত্রহীন বিদ্বান ব্যক্তিকে সব সময় এড়িয়ে চলা উচিত। সচ্চরিত্র ব্যক্তি অশিক্ষিত বা স্বল্প শিক্ষিত হলেও সে চরিত্রহীন বিদ্বান অপেক্ষা শ্রেয়।কেননা চরিত্র মানবজীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ এবং মানুষের ভালো-মন্দ নিরূপণের মাপকাঠি। চরিত্র মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। চরিত্র নষ্ট হয়ে গেলে মানুষ আর মানুষ থাকে না,পশুতে পরিণত হয়। তাই চরিত্রহীন ব্যক্তি বিধান হলেও তাকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।