চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ?
উত্তরঃ চরিত্র মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। চরিত্র যেমন অমূল্য সম্পদ তেমন মূল্যবান মুকুটস্বরূপ। তাই চারিত্রিক গুণই মানুষকে সত্যিকারের মানুষ করে তোলে, মহৎ করে এবং অমর করে রাখে। মানব জীবনের উন্নতি, সফলতা ও সার্থক বিকাশের জন্য চরিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। চরিত্রবান ব্যক্তি সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী।এ ধরনের মানুষ জাগতিক লোভ-লালসা ও মিথ্যা প্রলোভনে কখনো প্রলুধ্ব হয় না। এরা অন্যায়ের সাথে আপস করে না। এরা সূর্যের মতো প্রখর, পর্বতের মত অচল এবং প্রয়োজনে বরফের মতো বিগলিত। চরিএবান মানুষ সবার শ্রদ্ধার পাত্র। চরিত্রবান মানুষের সংস্পর্শে এলে যে কোন মানুষ সত্য ও সুন্দর পথের সন্ধান পায়। অন্যদিকে, দুশ্চরিত্র ব্যক্তি সমাজ, দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর। গাড়ী-বাড়ী ধন দৌলত, শিক্ষা-দীক্ষা ও সম্মান সব কিছুই মূল্যহীন হয়ে পড়ে যদি কোন লোক চরিত্রহীন হয়। চরিত্রহীন ব্যক্তি তার লোভ-লালসা হিংসা-দ্বেষ দিয়ে সমাজ ও কলুষিত করে । তারা সামাজিকভাবে পশুর চেয়েও অধম বলে বিবেচিত হয়। তাদের কোনো মর্যাদা থাকে না। চরিত্রবান ব্যক্তি তার মনুষ্যত্ব ও বিবেক দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য কাজ করে।পক্ষান্তরে, চরিত্রহীন ব্যক্তি বিষধর সাপের মতো ভয়ঙ্কর। এ ধরনের ব্যক্তিরা প্রয়োজনীয় যে কোন কাজ করতে দ্বিধা করে না। তাই প্রত্যেক মানুষকে জীবনের সফলতার জন্য, দেশ ও জাতির কল্যাণ সাধনার মাধ্যমে উত্তম চরিত্র গঠন করতে হবে। জগৎ সংসারের সকল জ্ঞানী- গুণী ব্যক্তি তাদের মহৎ চরিএের জন্যই স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছেন। তাদের উত্তম চরিত্র সকলের আদর্শ। কথায় বলে, সম্পদ হারিয়ে গেলে কখনো কখনো পুনরুুদ্ধার করা যায়, কিন্তু চরিত্র হারালে তা আর ফিরে পাওয়া যায় না। চরিএবান ব্যক্তি যেমন নিজ জীবনকে আলোকিত ও সুন্দর করে, তেমনি সমাজ, দেশ ও জাতিকে আলোকিত করে। তাই কোন জাতিকে উন্নত করতে হলে অবশ্যই উন্নত চরিত্রের জাতি গঠন করতে হবে।