সুসময়ে বন্ধু বটে অনেকেই হয় অসময়ে হায় হায় কেউ কারও নয়?
উত্তরঃ সুদিনে মানুষের বন্ধুর অভাব হয় না। এরা হচ্ছে সুযোগসন্ধানী কৃত্রিম বন্ধু। এর সব সময় নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত থাকে। দুর্দিনে এদের খুজে পাওয়া ভার। মানুষ সাধারণভাবে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে সমাজে বসবাস করে। প্রত্যেকের সুখ-দুঃখের সবাই অংশগ্রহণ করে। কিন্তু সমাজে কিছু স্বার্থপর মানুষ আছে, যারা শুধু নিজেদের সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করে। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা অন্য লোকদের সাথে মিশে। তারা অর্থ বা কাজ বাগাতে মৌমাছির মতো ঘুর ঘুর করে। স্বার্থ হাসিলের জন্য তোষামোধ করে, প্রয়োজনে চাটুকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। এ ধরনের মানুষ কখনো কারো প্রকৃত বন্ধু হতে পারে না। সত্যিকারের বন্ধু সেই যে বন্ধু বিপদের দিনে এগিয়ে আসে, তার পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। প্রয়োজনে বন্ধুর দুঃখ দূর করতে সর্বোত্তম সাহায্য করে। কিন্তু দুঃসময়ে বিপদ দেখে অনেকেই কেটে পড়ে। বর্তমানে অধিকাংশ লোক স্বার্থসিদ্ধির জন্য যেকোনো হিন কাজ করতেও ইতস্তত করে না। প্রকৃত বন্ধু খুঁজে পাওয়া খুবই দুর্লভ। প্রকৃত বন্ধু সে যে কোন অবস্থাতে বন্ধুকে ত্যাগ করতে পারে না, বন্ধুর বিপদে তার পাশে থাকে চির সাথীর মত। কোকিলের আবির্ভাব ঘটে ঋতুরাজ বসন্তের। প্রকৃতি যখন অপূর্ব রূপে সাজে তখন তার মাজা মাজা কালো রূপ নিয়ে মিষ্টি কন্ঠে সকলকে মুগ্ধ করে। কিন্তু যখন প্রকৃতি বিবর্ণ রূপ ধারণ করে তখন সে উধাও হয়ে যায়। সুসময়ের বন্ধু ও ঠিক তেমন। এরা বসন্তের কোকিলের মতো সুদিনের সঙ্গ দেয়। আর দুর্দিনের আত্মগোপন করে। সত্যি কারের বন্ধু কোন দিন-খন নেই। সব সময় সে বন্ধুর সাথি। সুবিধাবাদী বন্ধুদের সম্পর্কে আমাদের সবসময় সতর্ক থাকা উচিত। বন্ধু ভেবে তোষামোধ বা অনুনয়কারী কারো ফাঁদে পড়া উচিত নয়।
About Post Author
