মূলদ সংখ্যা (Rational number) বের করার নিয়ম।

মূলদ সংখ্যা: (Rational number)
যে সংখ্যাকে দুইটি পূর্ণ সংখ্যার অনুপাত (শূন্য বাদে) হিসেবে প্রকাশ করা যায় তাকে মূলদ সংখ্যা বলে অর্থাৎ যে সংখ্যাকে ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা যায় তাকেই মূলদ সংখ্যা বলে।

নিচের উদাহরণ গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন:

>>>>৭ একটি মূলদ সংখ্যা কারণ ৭ যে ভগ্নাংশ আকারে লেখা যায়। যেমন:

তাহলে যে কোন পূর্ণ সংখ্যাই মূলদসংখ্যা
কেননা, সকল পূর্ণ সংখ্যার নিচে হত হিসেবে ১ গোপনে থাকে।

        ২

>>>—

        ৫

ভগ্নাংশটি একটি মূলদ সংখ্যা। অর্থাৎ প্রকৃত, অপ্রকৃত এবং মিশ্র সব ভগ্নাংশই মূলদ সংখ্যা।

            ৫

>>>-

           ৬

ভগ্নাংশটি ঝণাত্মক হলেও মূলদ সংখ্যা।

>>> ১.২৫, ১২.৫ দশমিক সংখ্যাগুলোও মূলদ সংখ্যা কারণ এদেরকে পূর্ণ সংখ্যা আকারে ভগ্নাংশ বানানো যায়।

.০.৩ অথবা ০.১৮ ০.৬ দশমিক সংখ্যাগুলোতে পৌণপণিক আছে বিধায় এরাও মূলদ। কারণ এদেরতে ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা যায়। যেমন: ০৩ =

—,

১৮=

১১

এবং ০.৬ =

তাহলে সব পৌনপুনিক যুক্ত সংখ্যা ও মূলদ। কেননা এরা শুরুতে ভগ্নাংশই ছিল । .

পৌনপুনিক যুক্ত সংখ্যা অর্থ হলো আবৃত দশমিক সংখ্যা।

>>>যে কোন পূর্ণবর্গ সংখ্যার বর্গমূল হলো মূলদ সংখ্যা। যেমন: √৩৬,১২১ কারণ এদের বর্গমূল হবে পূর্ণ সংখ্যা যাদেরকে আবার ভগ্নাংশ আকারে দেখা যায়।

আবার কোন সংখ্যার ঘনমূল পূর্ণ সংখ্যা হলে তা মূলদ সংখ্যা। যেমন: 3√৮ = ২,3√৬৪ = ৪ সুতরাং সহজ ভাষায় আমরা বলতে পারি যে,

শূন্য,স্বাভাবিক সংখ্যা, প্রকৃত এবং অপ্রকৃত ভগ্নাংশ এবং সসীম দশমিক সকল সংখ্যাই মূলদ সংখ্যা। যেমনঃ ০,১,২,৪,৫,

√৮১ এগুলো সবগুলিই এক একটি মূলদ সংখ্যা। এখানে √৮১=৯ যা পূর্ণ বর্ণ তাই ইহা একটি মূলদ সংখ্যা। যে কোন পূর্ণবর্গ সংখ্যার উপর√ দিলে তার উত্তর পূর্ণ স্বাভাবিক সংখ্যা হয়। তাই ঐ সংখ্যাটিকে মূলদ সংখ্যা বলে, যেমন:

√১৬ √২৫ √৬৪

About Post Author

Related posts