মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় আড়ালে তার সূর্য হাসে হারা শশীর হারা হাসি অন্ধকারেই ফিরে আসে।
ভাব-সম্প্রসারণ: অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নানা বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে মানুষকে অগ্রসর হতে হয়। মেঘাচ্ছন্ন আকাশে মেঘের অন্তরালে সূর্য ঢাকা পড়লে তাতে বিব্রত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এটা ক্ষণিক বাধা ছাড়া আর কিছুই নয়।
“আর পড়ুনঃ” ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি? (ভাব সম্প্রসারণ)
মানুষের জীবন হলো সুখ এবং দুঃখ দিয়ে গাঁথা এক বিচিত্র মালার মতো।
নিরবচ্ছিন্ন সুখ কিংবা দুঃখ কোনো মানুষের জীবনে স্থায়ী হয় না। তার জীবনে যখন আসে দুঃখের অমারাত্রি, দুঃখ-বেদনা তখন অসহ্য বোধ হয়। মনে হয় সে দুঃখ-রজনীর বুঝি শেষ নেই।
কিন্তু অবশেষে তার দুঃখ বেদনার সে অমারাত্রির অবসান হয়।
পূর্ব দিগন্তে উদিত হয় সুখের সূর্য। কিন্তু সে সুখও তার ভাগ্যে চিরস্থায়ী হতে পারে না।
নদীর জোয়ারভাটার মতো তার জীবনে আবার আসবে দুঃখ, দুঃখের পর সুখ। কখনও কখনও আবার মানুষের জীবনের আকাশে জমাট বাঁধে দুঃখ এবং আপদ-বিপদের ঘন কালো মেঘ। অসহায় মানুষ সে ঘোর বিপদের কালো মেঘ দেখে হয়ে পড়ে ভয়ে বিহ্বল।
কিন্তু অচিরে সেই কালো মেঘ কেটে গিয়ে দেখা যাবে সূর্যের মুখ। বিপদ-বাধা কেটে গিয়ে দেখা দেবে নতুন সূর্যোদয়।
দুঃখ কষ্ট, বিপদ-বাধা সাময়িক। তা দেখে মানুষের ভয় পাওয়া বা বেদনায় ভেঙে পড়া উচিত নয়।
“আর পড়ুনঃ” গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন নহে বিদ্যা, নহে ধন, হলে প্রয়োজন?( ভাব সম্প্রসারণ)
মানুষের পার্থিব জীবন সংঘাতপূর্ণ, তথাপি এখানে হতাশ হওয়ার কিছু নেই; বরং ধৈর্য না হারিয়ে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যেতে পারলেই জীবন হয়ে উঠবে সার্থক ও সাফল্যমণ্ডিত।