সংগঠনের বিকাশ কীভাবে হয় উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য উৎপাদনমুখি কাযক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করাকে সংগঠন বলা হয়। সত্যিকার অর্থে সংগঠন ছাড়া উৎপাদন ও ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনা প্রায় অসম্ভব। আধুনিক বিশ্বের উৎপাদন কমান্ডারে বিভিন্নজন বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। এ দায়িত্ব সংগঠন দক্ষতার সাথে যোগ্যতা অনুযায়ী ভাগ করে দেন।এভাবে কমীদের সহায়তায় উৎপাদন ও ব্যবসায়ের বিভিন্ন কাযাবলি সম্পাদিত হয়। কিন্তু এ কায সম্পাদনে কমীদের মধ্যে একটি পারস্পরিক কতৃত্ব ও দায়িত্ব সৃষ্টি হয়।পারস্পরিক এই কতৃত্ব ও দায়িত্ব কাঠামোই সংগঠন। সুতরাং সংগঠন হচ্ছে ব্যবসায়ের ভিত্তি। পাঠনের বিভিন্ন অংশ এক সঙ্গে ধরে রাখা এবং লক্ষ পয়োজনীয় রুপরেখা তৈরি সাংগঠনিক কাঠামো কাজ| তা ছাড়া বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব বণ্টন, নিয়ম-শৃঙ্খলা গড়ে তোলা ইত্যাদি সাংঠনিক কাঠামোর অন্তর্গত। ব্যবসায়ের আয়তনের উৎপাদিত পণ্যের প্রকৃতি ও পরিমাণ শিল্পের প্রকৃতি, উৎপাদ প্রক্রিয়া, শ্রমিকের দক্ষতা প্রভৃতির উপর ব্যবসায়ের সাংগঠনি কাঠামো নির্ভরশীল।
উদাহরণ: আয়েশা বেগম তার সংসারের যাবতীয় কাজের ফাঁকে বাড়িতে একটি হাস-মুরগির খামার গড়ে তুলেছেন। এই খা থেকে সারা বছরই কম বেশি ডিম উৎপাদিত হয়। এক বছর পর। সরকারি মাছের খামার দেখতে যান আয়েশা এবং এরপর থেকে তাঁর মাথায় হাঁস-মুরগির খামারের পাশাপাশি মাছ চাষ করার আছে জাগে। এক বছরে হাঁস-মুরগির খামার থেকে ডিম বিক্রির নিচে জায় বিশ হাজার টাকা দিয়ে তিনি বাড়ির পাশে ২ বিঘা জমিতে পুকুর করে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ শুরু করেন। দুটি খামারে। নতুন করে কয়েকজন শ্রমিক নিয়োগ পায়। হাঁস-মুরগির খামার থেকে ডিম বিক্রি এবং এক বছর পরে পুকুরের মাছ বিক্রি শুরু হলে আয়েশার উপার্জন বাড়তে থাকে। তিনজন সন্তানের পড়াশোনার খরচ এবং সংসারের অন্যান্য যাবতীয় খরচ মিটিয়ে আয়েশার সঞ্চয়ও বাড়তে থাকে। আয়েশার কাজকর্ম বাড়ায় তাঁর স্বামী রহমত আলী শহরের চাকরি ত্যাগ করে গ্রামে স্ত্রীর খামারে যোগ -দেন। উত্তরের প্রচেষ্টায় তারা বেশ কিছু জমি, হাঁস-মুরগি এবং মাছ চাষের আওতায় নিয়ে আসেন। ১২ জন নারী-পুরুষ শ্রমিকও নিয়োগ করেন। প্রত্যেক শ্রমিকের কাজও বুঝিয়ে দেন তারা। প্রায়েশা এবং রহমত পালাক্রমে শ্রমিক কর্মচারী এবং খামারসমূহ তদারক করেন। তাদের সাফল্য দেখে গ্রামের অনেকে তাদের অনুসরণ করে গ্রাম ও এলাকাজুড়ে হাঁস-মুরগির খামার এবং মাছ শুরু করেন।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, ব্যবসায়ের সাংগঠনিক পাঠামোর বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও শাখার কাজকর্ম নির্দিষ্ট =রে ভারপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন ও অধস্তন কর্মীদের পদগুলো ক্রমানুসারে জালে তা হতে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কাঠামোর যে সুস্পষ্ট চিত্র ওয়া যায় তাকে সংগঠনের চিত্র বলে। সংগঠন ব্যবস্থাপনা যত “দর ও সুষ্ঠু হবে ব্যবসায়ের সাফল্য তত বেশি হবে। সুতরাং গঠনই হলো ব্যবসায়ের মৌলিক ও প্রধান বিষয়।