কালান্তিক বনাম নিত্য মজুদ (Periodic Vs. Perpetual Inventory)
• নিত্য মজুদ তালিকা পদ্ধতি এবং কালান্তিক মজুদ তালিকা: এ পদ্ধতিদ্বয়ের মধ্যে যে সব পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. নিত্য মজুদ তালিকা পদ্ধতিতে পণ্য গণনার কাজ সারা বছরব্যাপী চলে।
কিন্তু কংলান্তিস্ত মজুদ পদ্ধতিতে মজুদ পণ্যের গণনার কাজ হিসাবকালের শেষে করা হয়।
আরও পড়ুনঃ অব ব্যালেন্স শীট উপকরণ (Off Balance Sheet item)
২. বড় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অথচ কম সংখ্যক আইটেমের পণ্য বিক্রয় করা হয় সে সকল প্রতিষ্ঠানে নিত্য মজুদ তালিকা ব্যবহার হয়।
এ পদ্ধতির প্রয়োগ বেশি ব্যয়বহুল।
আরও পড়ুনঃ CVP বিশ্লেষণ (CVP Analysis) কি
তুলনামূলকভাবে ছোট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অথচ অধিক সংখ্যক আইটেমের পণ্য বিক্রয় করে সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে কালান্তিক মজুদ গণনা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। কারণ এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা ব্যয়বহুল।
অধিক সংখ্যক পণ্যের জন্য এ পদ্ধতি উপযোগী কারণ কাজের জটিলতা কম।
৩. নিত্য মজুদ ভালিকা পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য স্থায়ী অভিজ্ঞ গণনাকারী কর্মীদল নিয়োগের প্রয়োজন হয়। যদিও কম্পিউটার স্কেনার ব্যবহারের ফলে পণ্যের মজুদ সংরক্ষণ কার্য সহজতর হয়েছে।
কালান্তিক মজুদ পদ্ধতির ক্ষেত্রে আলাদা কোন কর্মীদল নিয়োগ করতে হয় না পণ্য মজুদ গণনার জন্য।
৪. নিত্য মজুদ তালিকা একটি অবিরত প্রক্রিয়া।
সারা হিসাব কালব্যাপী এ পদ্ধতিতে মজুদ পণ্যের পরিমাণ ও টাকার অংকের হিসাব রাখা হয়।
আরও পড়ুনঃ আই এফ আর এস (IFRS)
কিন্তু কালন্তিক মজুদ পদ্ধতিতে বছরের শেষে মজুদ পণ্যের পরিমাণ ও টাকার অংক জানা যায়।
৫. নিত্য মজুদ তালিকা পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য ব্যবসায়ের স্বাভাবিক কাজকর্মের ব্যাঘাত ঘটে না। কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যবসায়ের স্বাভাবিক কাজকর্মের ব্যাঘাত ঘটে।
৬. নিত্য মজুদ তালিকা পদ্ধতিতে পণ্যের পরিমাণ ও অবস্থা সারা বছরব্যাপী জানা যায়। পণ্যের কোন প্রকার গরমিল পরিলক্ষিত হলে তার কারণ দ্রুত বের করে সময়োপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া যায়।
কিন্তু কালান্তিক মজুদ পদ্ধতিতে পণ্যের গরমিল হিসাবকালের শেষে জানা যায় বলে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে বিঘ্ন ঘটে।