নগদ ভিত্তি বনাম বকেয়া ভিত্তি (Cash Basis Vs. Accrual Basis)
• বকেয়াভিত্তিক হিসাবরক্ষণ (Accruial Basis of Accounting) হলো আয় বা মুনাফা নির্ণয়ের এরূপ একটি পদ্ধতি যেখানে ব্যবসায়িক পণ সরবরাহ অথবা সেবা প্রদানের বহুবেই এদের বিনিময়ে প্রাপ্ত বা প্রাপ্তব্য মূল্যকে “Revenue Income” হিসেবে ধরা হয়।
এক্ষেত্রে নগদ টাকার আকারে উক্ত Revenue আসল কি না তা বিবেচনা করা হয় না।
একইভাবে চলতি হিসাবকালে যে কোনে৷ বাহ্যিক সূত্র হতে উৎপন্ন তথ্য প্রাপ্য আয়কে (নগদ না পাওয়া সত্ত্বেও) চলতি সালে হিসাবভুক্ত করা হয়
আরও পড়ুনঃ অব ব্যালেন্স শীট উপকরণ (Off Balance Sheet item)
এবং পাওয়ার অধিকারটিকে চলতি সালেই সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
আবার চলতি হিসাবকালে কোনো স্বীকৃত রাজস্ব আয় (যেমন বিক্রয়) উৎপাদনের জন্য একই সাথে ব্যয়িত (Incurred) খরচগুলোকে চলতি সালের ব্যয় (Expenses) হিসাবে গণ্য করা হয়।
উক্ত খরচগুলোকে প্রকৃতপক্ষে নগদে পরিশোধ করা হলো কিনা তা বিবেচনা করা হয় না। যদি উক্ত খরচ অপরিশোধিত থাকে তখন তাকে (বকেয়া অংশটুকু) একদিকে চলতি সালের ব্যয় এবং অন্যদিকে ব্যবসায়ের দায় হিসাবে গণ্য করা হয়। হিসাবশাস্ত্রের বিবেচনা মতে কেবলমাত্র বকেয়া ভিত্তিতে নির্ণীত কাবারি ফলাফলই বিশুদ্ধ, নির্ভুল ও যুক্তিসঙ্গত্ত হয়ে পারে।
বকেয়াভিত্তিক হিসাবরক্ষণ প্রণালীতে সময়ে জাবেদার (Adjusting entries) ব্যবহার করা হয় হিসাবকে আপ টু ডেট রাখার জন্য।
বাণিজ্যিক বিশ্বে বকেয়াভিত্তিক হিসাবরক্ষণ প্রণালী প্রচলিত বিধায় বকেয়াভিত্তিক হিসাবরক্ষণ প্রথালী বাণিজ্যি হিসাবরক্ষণ প্রণালী নামেও সর্বাধিক পরিচিত।
আরও পড়ুনঃ কালান্তিক বনাম নিত্য মজুদ (Periodic Vs. Perpetual Inventory)
পক্ষান্তরে নগদানভিত্তিক হিসাবরক্ষণ প্রণালী একটি নির্দিষ্ট হিসাবকালে নগদ ছাড়া অন্যান্য অর্জিত আয় লিপিবদ্ধ করে না। অনুরূপভাবে খরচের ক্ষেত্রে অর্জিত আয়ের বিপরীতে সকল খরচও লিপিবদ্ধ করে না।
তাই এই প্রণালীতে বিশুদ্ধ বা সঠিক আর্থিক বিবরণী তৈরি করা যায় না। তাছাড়া নগদান ভিত্তিক হিসাবরক্ষণ প্রণালী সর্বজনগ্রাহ্য হিসাবরক্ষণ নীতিও (GAAP) অনুসরণ করে না।