ব্যাংকিং ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞানের সুবিধা বা উপকারিতাসমূহ বর্ণনা করুন। JAIBB

চারটি গুরুত্বপূর্ণ আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা

ব্যাংকিং ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞানের সুবিধা বা উপকারিতাসমূহ বর্ণনা করুন। JAIBB
(Describe the advantages or usefulness of accounting in Banking sector.)

ভূমিকা: ব্যাংক জনগণের আস্থা বা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ব্যবসা করে।
তাই সঠিক হিসাবরক্ষণের মাধ্যমে ব্যাংক জনগণের আস্থা অর্জন করে।
জনগণের আস্থা অটুট রেখে ব্যাংককে টিকে থাকতে হলে হিসাববিজ্ঞানের বিজ্ঞানসম্মত কলাকৌশল অবলম্বন করে সঠিক হিসাব রাখতে হয়।
তাই ব্যাংকিং ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞানের উপকারিতা বা সুবিধাসমূহ নিচে আলোচনা করা হলো

১. স্থায়ী হিসাবরক্ষণ: ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন সকল লেনদেনগুলোকে হিসাববিজ্ঞানের মাধ্যমে স্থায়ী ও সুশৃঙ্খলভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
এ রক্ষিত হিসাব ভবিষ্যতে উৎস হিসাবে কাজ করে।

“আর পড়ুনঃ” হিসাববিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করুন। JAIBB

২. আমানতকারীদের তাৎক্ষণিক তথ্য প্রদান: ব্যাংকিং তহবিলের মূল উৎস আমানতকারীগণ।
তাদের আস্থার উপর ব্যাংকের সাফল্য নির্ভরশীল।
সঠিক হিসাবরক্ষণের মাধ্যমে আমানতকারীদের হিসাবের সর্বশেষ তথ্য প্রদান করে তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।

“আর পড়ুনঃ” হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্যসমূহ বর্ণনা করুন। JAIBB

৩. অগ্রিম গ্রহণকারীদের হিসাবরক্ষণ: ব্যাংকের মূল আয় সুদ প্রাপ্তি। এই সুদ ব্যাংক থেকে যারা ঋণ গ্রহণ করে তাদের কাছ থেকে আসে।
কাজেই ঋণগ্রহণকারীদের হিসাব সঠিকভাবে রাখতে না পারলে ব্যাংক থেকে কেউ ঋণ গ্রহণ করবে না, ফলে ব্যাংক আয় থেকে বঞ্চিত হবে।
হিসাববিজ্ঞানের প্রয়োগের মাধ্যমে সঠিকভাবে হিসাব রাখা যায়।

৪. লাভ-ক্ষতি নির্ণয়: একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা এক বছরে ব্যাংক কী পরিমাণ লাভ করলো বা কী পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হলো তা হিসাববিজ্ঞানের মাধ্যমে জানা যায়।

৫. আর্থিক অবস্থা: একটি নির্দিষ্ট দিনে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা অর্থাৎ দায় ও সম্পত্তির অবস্থা একমাত্র হিসাববিজ্ঞানের প্রয়োগের মাধ্যমেই জানা যায়।

ব্যাংকিং ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞানের সুবিধা বা উপকারিতাসমূহ বর্ণনা করুন। JAIBB

৬. জালিয়াতি রোধ: জালিয়াতি ব্যাংকিং ব্যবসায়ের সুনাম নষ্ট করে।
হিসাববিজ্ঞানের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে জাতিলয়াতি রোধ করা যায়।

“আর পড়ুনঃ” হিসাববিজ্ঞান কাকে বলে? (What is Accounting? JAIBB

৭. সুদ ও বাটার হিসাব: হিসাববিজ্ঞানের কৌশল অবলম্বন করে হিসাবকালের জন্য অর্জিত সুদ ও বাজার হিসাব করা হয়।

৮. ব্যয় নিয়ন্ত্রণ: ব্যাংক পরিচালনার জন্য প্রতিটি ব্যাংককে প্রচুর পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়।
হিসাববিজ্ঞানের কৌশল অবলম্বন করে এই খরচ হিসাবভুক্ত করা হয় এবং নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

৯. প্রমাণপত্র হিসাবে ব্যবহার: আইনগত প্রয়োজনে রক্ষিত হিসাব প্রমাণপত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
সঠিক হিসাবরক্ষণের মাধ্যমে ভ্যাট ও কর আদায় করে সরকারকে তা প্রদান করা হয়।

About Post Author

Related posts