হিসাববিজ্ঞান ও আর্থিক বিজ্ঞানের পার্থক্য বর্ণনা করুন। (Differentiate between Accounting and Finance.)
প্রত্যেকটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক ও মূলধন কাঠামো বিদ্যমান।
হিসাববিজ্ঞানীদের সাধারণত কাঠামোগত আর্থিক পরিবেশের মধ্যেই কাজ করতে হয়।
তাই ব্যবসায় অর্থসংস্থান বিষয় সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান থাকা হিসাববিজ্ঞানীদের জন্য অপরিহার্য।
ব্যবসায় অর্থসংস্থান ব্যাপক অর্থে মূলধনের সৃষ্টি, বটন ও নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
হিসাববিজ্ঞানের ভূমিকা এখানে দ্বিমুখী।
হিসাববিজ্ঞান একই সঙ্গে আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে এবং ঐ সব সিদ্ধান্ত সহণের ফলাফলকেও প্রতিফলিত করে।
তাই এ দুটি বিষয়ও খুবই কাছাকাছি।
পার্থক্যের ক্ষেত্র | আর্থিক হিসাব | হিসাববিজ্ঞান |
১. প্রকৃতি | এটা অতীতের সাথে সংশ্লিষ্ট। অতীতের সম্পাদিত লেনদেন লিপিবদ্ধকরণ এবং তা থেকে ফলাফল নিরূপণ এর কার্য। | এটা ভবিষ্যৎধর্মী। অতীত বিচারের সাথে বর্তমান বিষয় বিবেচনায় এনে এটি ফলাফল মূল্যায়ন করে। |
২. বিষয়বস্তু | লেনদেন হতে এটা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অবস্থা ও ফলাফল নির্দেশ করে ও আর্থিক অবস্থা জ্ঞাত করে। | এটা প্রয়োজনের নিরিখে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ, কোন অংশ বা পণ্য সম্পর্কে তথ্যাবলি পরিবেশন ও অবস্থা নিরূপণ করে। |
৩. সময় | এতে হিসাবকাল শেষে আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত। করা হয়। | এক্ষেত্রে প্রতিবেদন প্রস্তুতের কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। প্রয়োজন ভিত্তিতে যখন প্রয়োজন তখনই প্রতিবেদন প্রকৃত ও উপস্থাপন করা হয়। |
৪. হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি | এতে হিসাববিজ্ঞানের স্বীকৃত নিয়ম প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইনের বিধান অনুসরণ করে হিসাবরক্ষণ কার্য সম্পন্ন করা হয়। | এক্ষেত্রে এখনো কোন সর্বজনীন নীতি প্রণীত হয়নি। ফলে প্রয়োজন ও সুবিধার আলোকে এতে বিবরণী প্রস্তুত ও উপস্থাপন করা হয়। |
৫. আইনের বাধ্যবাধকতা | কোম্পানি ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ হিসাব্রক্ষণ বাধ্যতামূলক। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও প্রয়োজনের নিরিখে এ হিসাব রাখে। | এক্ষেত্রে কোন আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। যে কোন প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনে এ হিসাব ব্যবস্থা প্রচলন করতে পারে। |
সুতরাং দেখা যায় প্রকৃতি, কার্যক্ষেত্র ও উদ্দেশ্যগত বেশ কিছু পার্থক্য উভয়ের মধ্যে বিদ্যমান।