দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি (Duble Entry System)
বর্তমানে পৃথিবীতে ব্যবসায়-বাণিজ্যে ও লেনদেনের প্রকৃতির পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হিসাবরক্ষণের প্রাচীন পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি চালু হয়েছে।
এ পদ্ধতিকে সাধারণত দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতি নামে অভিহিত করা হয়।
১৪৯৪ সালে লুকা প্যাসিওলি নামে একজন ইতালীয় হিসাবশাস্ত্রবিদ প্রথমে দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুসারে লেনদেন লিপিবদ্ধকরণের নতুন নিয়ম আবিষ্কার করেন।
হিসাবরক্ষণের যে পদ্ধতির মাধ্যমে লেনদেনের দ্বৈত সত্ত্বা বা পক্ষের একটিকে ডেবিট এবং এর সমপরিমাণ অপরটিকে ক্রেডিট করে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতি বলে।
বিভিন্ন হিসাবশাস্ত্রবিদ দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতির যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তা নিচে বর্ণিত হলো :
Spicer & Peglar-এর মতে, “যে পদ্ধতিতে অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্য প্রতিটি লেনদেনে এক বা একাধিক ব্যক্তির নিকট হতে যে মূল্যের সুবিধা পায় এবং অপর ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের সমান সুবিধা প্রদান করে বলে স্বীকার করা হয় তাকে দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতি বলে।”
J. L. Hanson-এর মতে, “যে পদ্ধতিতে প্রতিটি লেনদেনের একটি ডেবিট এবং অপরটি ক্রেডিট নামে লিপিবদ্ধ করা হয় যাতে ডেবিট এবং ক্রেডিট দাখিলা সমান হয় তাকে দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতি বলে।”
পরিশেষে বলা যায় যে, যে পদ্ধতিতে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের লেনদেনসমূহের ডেবিট, ক্রেডিট বিশ্লেষণপূর্বক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে হিসাবের বইতে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতি বলে।