প্রাসঙ্গিক ব্যয় (Relevant cost)
ব্যবধানমূলক ব্যয় বিশ্লেষণ এবং প্রাসঙ্গিক ব্যয় বিশ্লেষণ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। একই চিন্তা ধারায় উভয় বিশ্লেষণের মাধ্যমে অনিয়মিত সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করা হয়। কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যে বায় বিবেচনায় আনা যেতে পারে ঐ বায়কেই প্রাসঙ্গিক ব্যয় বলে। ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অতীত কার্যক্রমের কোন পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব নয় বিধায় অতীত খরচাবলিকে অপ্রসাঙ্গিক ব্যয় ধরা যায়। সাধারণ অর্থে ভবিষ্যতে বিকল্প কার্যক্রমের বায়ের পার্থক্যকে প্রাসঙ্গিক ব্যয় বলা যায়। প্রাসঙ্গিক ব্যয়ের প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে:
(ক) ব্যয় অবশ্যই ভবিষ্যতে সংঘটিত হতে হবে।
(খ) বিভিন্ন বিকল্প কার্যধারা থাকবে এবং এই কার্যধারার ব্যয়ের পার্থক্য থাকতে হবে।
“আর পড়ুনঃ” একটি অংশীদারি কারবারের আর্থিক প্রতিবেদন
কাজেই দেখা যায় নিমজ্জিত বায় বা অতীত বায়কে প্রাসঙ্গিক ব্যয় হিসাবে বিবেচনায় আনা হয় না। আবার সকল ভবিষ্যত ব্যয়কেও প্রাসঙ্গিক ব্যয় ধরা যায় না। কারণ কোন কোন বিকল্প কার্যধারায় ভবিষ্যত ব্যয় একই রকম থাকতে পারে এবং এই ক্ষেত্রে ভবিষ্যত ব্যয়ের কোন পার্থক্য থাকবে না। এই শ্রেণীর ভবিষ্যত ব্যয়কে প্রাসঙ্গিক ব্যয় ধরা যাবে না। এজন্য বলা যায়, “সকল প্রাসঙ্গিক ব্যয়ই ভবিষ্যত বায় কিন্তু সকল ভবিষ্যত বায়কে প্রাসঙ্গিক ব্যয় ধরা হয় না।” প্রাসঙ্গিক ব্যয়কে বিভিন্ন ধারায় ব্যাখ্যা করা যায়। যেমন Incremental on differential or relevant cost approach প্রাসঙ্গিক বানর ধারণায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে :
“আর পড়ুনঃ” হিসাব চক্র বলতে আপনি কী বুঝেন?
(ক) প্রতিটি বিকল্পের সাথে সম্পর্কযুক্ত সকল বায় সংগ্রহ করতে হবে।
(খ) নিমজ্জিত ব্যয় পরিত্যাগ করতে হবে।
(গ) বিভিন্ন বিকল্পের যে সমস্ত ব্যয়ের পার্থক্য থাকবে না তা পরিত্যাগ করতে হবে।
(ঘ) অবশিষ্ট ব্যয় উপাত্তের ভিত্তিতে সর্বোত্তম বিকল্প নির্বাচন করতে হবে।
(ঙ) একক ব্যয় সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। মোট ব্যয় ব্যবহার করাই যুক্তিযুক্ত। কারণ একক ব্যয় সাধারণত অপ্রাসঙ্গিক হয়। আবার একই একক পরিমাণের উপর একক ব্যয়ের তুলনাও সম্ভব নয়।