মজুদ হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি বলতে কী বোঝেন? (What do you mean by Inventory Recording System?)
যে পদ্ধতিতে বিক্রীত পণ্যের সঠিক ব্যয় এবং সঠিক মজুদ পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য মজুদ পণ্যের হিসাব রাখা হয় তাকে মজুদ রংরক্ষণ পদ্ধতি বলে।
সাধারণত একজন ব্যবসায়ী বিক্রয়যোগ্য মজুদ পণ্যের পরিমাণ এবং বিক্রীত পণ্যের বায় সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য মজুদ পণ্যের হিসাব সংরক্ষণ করে। মজুদ পণ্যের হিসাব সংরক্ষণের জন্য দুটি পদ্ধতি প্রচলিত আছে।
যথা : (১) অবিরত মজুদ তালিকা পদ্ধতি (২) কালান্তিক মজুদ তালিকা পদ্ধতি।
১. অবিরত মজুদ তালিকা পদ্ধতি (Perpetual inventory system): কারবারি প্রতিষ্ঠানের মজুদ পণ্য মূল্যায়নের একটি অন্যতম পদ্ধতি হলো অবিরত মজুদ তালিকা পদ্ধতি।
এ পদ্ধতিতে প্রতি পণ্য ক্রয়ের ক্রয় মূল্য এবং বিক্রিত পণ্যের ক্রয় মূল্য সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।
যে পদ্ধতিতে প্রতিবার পণ্য ক্রয় এবং বিক্রয়ের পর পণ্যের উদ্বৃত্ত ও মূল্য নির্ণয় করা হয় তাকে অবিরত মজুদ তালিকা পদ্ধতি বলে।
যে সমস্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান উচ্চমূল্যের এবং সীমিত পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে সাধারণত সে সকল প্রতিষ্ঠানে অবিরত মজুদ তালিকা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
২. কালান্তিক মজুদ তালিকা পদ্ধতি (Periodic inventory system): ব্যবসায়ী বা কারবারি প্রতিষ্ঠানের মজুদ মূল্যায়নের একটি অন্যতম পদ্ধতি হলো কালান্তিক মজুদ প্রণালী।
এ পদ্ধতিতে পণ্যের আগমন ও নির্গমনের সময় পণ্যের সমন্বয়ের ভিত্তিতে মজুদ সংরক্ষণ করা হয় না; বরং বছরান্তে বা নির্দিষ্ট সময় শেষে সকল মজুদের পরিমাণ গণনা করে পণ্যের অস্তিত্ব যাচাই ও মূল্য নিরূপণ করা হয়।
সাধারণত ছোটখাট ও খুচরা ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যেমন : ঔষধের ফার্মেসী, হার্ডওয়্যার, বস্ত্র দোকানদার ইত্যাদি যারা তুলনামূলকভাবে স্বল্প মূল্যের অনেক প্রকার সামগ্রী বিক্রি করে তারা কালাম্ভিক মজুদ প্রণালী অনুসরণ করে বিক্রিত পণ্যের ব্যয় ও সমাপণী মজুদ পণ্যের মূল্য নিরূপণ করে।