ঋণ প্রভিশনিং-এর নিয়মাবলি BRPD সার্কুলার-এর আলোকে আলোচনা করুন। (What are the loan provisioning requirements for Banks as per BRPD circular?)
সাধারণত কারবার প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সময় বিভিন্ন কারণে ব্যবসায়ের/প্রতিষ্ঠানের মূলধন ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
আর কারবারের মূলধনের এধরণের ক্ষতিপূরণের জন্য যে তহবিল সংরক্ষণ করা হয় তাকেই ঋণ প্রতিশনিং বলা হয়।
এটির মাধ্যমে মূলধনের ক্ষতিপূরণ করা না হলে মূলধনের পরিমাণ কমে যায়। স্বভাবতই তখন প্রতিষ্ঠান তহবিল সংকটের মুখোমুখি হয়।
উল্লেখ্য যে, কি পরিমাণ প্রতিশনিং সংরক্ষণ করা হবে তা মূলতঃ বাংলাদেশ ব্যাংক তার জারীকৃত পরিপত্রের মাধ্যম নির্ধারণ করে থাকে।
ব্যাংকের বিনিয়োগকৃত ঋণ/অগ্রীমে কিছু অংশ অনেক সময় ফেরত আসে না বা বিভিন্ন কারণে আদায়কৃত হয় না, এক পর্যায়ে তা কু-ঋণে পতিত হতে পারে।
এমতাবস্থায় এক্ষেত্রে সম্পদের সম্ভাব্য লোকসান সংকুলানের জন্য প্রতি বছরের আয় থেকে কতিপয় সম্পদ সঞ্চয় করে রাখা হয়।
কারণ ভবিষ্যৎ কু-ঋণ জনিত ক্ষতির চাপ যাতে কারবারের উপর প্রভাব না পড়ে বা আমানতকারীদের অর্থ ফেরৎ প্রদানে যেন কোনো অসুবিধার সৃষ্টি না হয় সেজন্য কোনো জানা দেনা পরিশোধ করার জন্যই প্রভিশনিং (Provisioning) সৃষ্টি করা হয়। প্রভিশনিং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক লাভের পরিমাণ থেকে ভবিষ্যতে ব্যবস্থার জন্য সঞ্চিত করে রাখা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী ঋণ প্রভিশনিং কার্যক্রম ধামাসিক ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হয়। চলমান তলবী এবং মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে শ্রেণি বিন্যাসিত ঋণের বিপরীতে ব্যাংকসমূহ নিম্নরূপ হারে প্রভিশনিং করে: নিম্নমান- ২০%, সন্দেজনক- ৫০%, মন্দ- ১০০% শ্রেণিকৃত ঋণের বকেয়া স্থিতি হতে স্থগিত সুদ ও উপযুক্ত জামানত এর মূল্য বিয়োজন পূর্বক নিরুপিত স্থিতির উপর উপরোক্ত হারে প্রভিশনিং ১% হারে সাধারণ প্রভিশনিং সংরক্ষণ করতে হয়।