Balance Sheet সংক্রান্ত Financial Institution Act, 1993 এর ধারাগুলি ব্যাখ্যা করুন। (Explain in brief the provisions of the Financial Institution Act, 1993 (with amendments) regarding Balance Sheet)
অথবা, Financial Institutions Act. 1993-এর লাভ-ক্ষতি সংক্রান্ত ধারণাগুলোর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা করুন। (Explain in brief the provisions of Financial Institutions Act 1993 relating to preparation of profit and loss account.)
Banace Sheet সংক্রান্ত Financial Institution Act, 1993 এর ধারা গুলি নিচে ব্যাখ্যা করা হলো :
ধারা-১১। প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার সর্বশেষ নিরীক্ষিত ব্যালেন্স শীট-এর কপি, পরিচালকদের নামসহ, উহার সকল কার্যালয় ও শাকার প্রকাশ্য স্থানে সারা বৎসর প্রদর্শন করিবে এবং সংশ্লিষ্ট বৎসর শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে উক্ত ব্যালেন্সশীট কমপক্ষে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করিবে।
“আর পড়ুনঃ” ঋণ প্রভিশনিং-এর নিয়মাবলি BRPD সার্কুলার-এর আলোকে আলোচনা করুন।
ধারা-২৩। মোতাবেক প্রস্তুতকৃত লাভ-ক্ষতির হিসাব ও ব্যালেন্সশীট এর একটি প্রতিলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে।
“আর পড়ুনঃ” নিত্য মজুদ তালিকা পদ্ধতি কী? এর সুবিধা-অসুবিধা আলোচনা করুন।
ধারা-২৪ । ১. কোম্পানি আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বার্ষিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে একজন নিরীক্ষক নিয়োগ করিবে।
২. কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিরীক্ষক নিয়োগে অসমর্থ হইলে, বা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনায় যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত নিরীক্ষকের সাথে অপর একজন নিরীক্ষকের কাজ করার প্রয়োজন থাকে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য একজন নিরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাকে প্রদেয় পারিতোষিকও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করিয়া দিবে।
“আর পড়ুনঃ” হিসাবরক্ষণের দু’তরফা ও একতরফা পদ্ধতি
৩.যে বৎসরের জন্যে নিরীক্ষক নিযুক্ত হইবেন সেই বৎসরের হিসাব নিরীক্ষা সম্পন্ন করা এবং তৎভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করাই হইবে এই ধারার অধীন নিযুক্ত নিরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাকে প্রদেয় পারিতোষিক ও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করিয়া দিবে।
8. উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত দায়িত্ব ছাড়াও, বাংলাদেশ ব্যাংক নিরীক্ষকের উপর তৎকর্তৃক নির্ধারিত অন্য যেকোনো দায়িত্ব আরোপ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য নিরীক্ষক অতিরিক্ত পারিতোষিক প্রাপ্য হইবেন।
Balance Sheet সংক্রান্ত Financial Institution
৫. এই ধারার অধীন প্রস্তুতকৃত নিরীক্ষকের প্রতিবেদন, ব্যালেন্সশীট ও লাভ-ক্ষতির হিসাবের সাথে সংযোজতি করিতে হইবে এবং উহার একটি প্রতিলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় যদি কোন নিরীক্ষক এ মর্মে সন্তুষ্ট হন যে—
ক.এই আইনের বিধানসমূহ গুরুত্বরভাবে লজ্জিত হইয়াছে বা পালন করা হয় নাই অথবা প্রতারণা বা অসততার দরুন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ফৌজদারী অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে;
খ. লোকসানের দরুণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির মূলধন পঞ্চম শতাংশ পরিমাণ নামিয়া গিয়াছে;
গ. পাওনাদারগণের পাওনা প্রদানের নিশ্চয়তা বিঘ্নিত হওয়াসহ অন্য কোন গুরুত্বর অনিয়ম ঘটিয়াছে; অথবা
ঘ. পাওনাদারগণের পাওনা মিটানোর জন্যে সম্পদ যথেষ্ট কি-না সে ব্যাপারে সন্দেহ রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি অবিলম্বে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করিবেন।
ধারা-৪১।
১. কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোন পরিচালক, ব্যবস্থাপক, নিরীক্ষক, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, কর্মকর্তা বা কর্মচারী ইচ্ছাকৃতভাবে যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানের হিসাব বহি, হিসাব, প্রতিবেদন, ব্যবসায় সংক্রান্ত কাগজ, বা অন্যান্য দলিলে, অতঃপর উক্ত দলিল বলিয়া উল্লিখিত, মিথ্যা কিছু সংযোজন করেন বা করিতে সাহায্য করেন বা উক্ত দলিলের কিছু গোপন বা নষ্ট করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা অনুর্ধ ৩ বৎসরের কারাদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
২. যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধানের প্রয়োজন মোতাবেক বা উহার অধীন বা উহার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে তলবকৃত বা দাখিলকৃত কোন বিবরণ, প্রতিবেদন বা অন্যান্য দলিলে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন, অথবা অনুরূপ কোন বিবরণ, প্রতিবেদন বা দলিলে ইচ্ছাকৃতভাবে কোন প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান না করেন, তাহা হইলে তিনি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডণীয় হইবেন।
[সংগ্রহীত]