Periodic এবং Perpetual মজুদ পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য কী? (What are the differences between periodic and perpetual inventory system?)
অথবা, নিত্য মজুদ তালিকা পদ্ধতি বনাম কালান্তিক মজুদ তালিকা পদ্ধতির একটি তুলনামূলক পার্থক্য বর্ণনা করুন। (Describe the difference between a perpetual inventory versus periodical inventory system.)
অবিরত ও কালান্তিক মজুত পদ্ধতির আলোচনা থেকে এর কয়েকটি সুস্পষ্ট পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। নিচে এ পার্থক্যগুলো ছকের সাহায্যে প্রদর্শন করা হলো:
পার্থক্যের বিষয় | অবিরত মজুত পদ্ধতি (Perpetual inventory system) | কালান্তিক মজুত পদ্ধতি (Periodic inventory system) |
১. সংজ্ঞা | যে পদ্ধিতিতে নতুন ক্রয় এবং বিক্রয়ের পর নতুনভাবে মালের উদ্বৃত্ত ও মূল্য নির্ণয় করা হয় তাকে অবিরত মজুত পদ্ধতি বলে। | যে পদ্ধিতিতে বছরান্তে বা নির্দিষ্ট সময় শেষে সকল মজুতের পরিমাণ গণনা করে মালের অস্তিত্ব যাচাই ও মূল্য নিরূপণ করা হয় তাকে কালান্তিক মুজত পদ্ধতি বলে।
|
২. শিরোনাম | এই পদ্ধতিতে পণ্য ক্রয় করা হলে তার জন্য “ক্রয় হিসাব” না রেখে “মজুতপণ্য হিসাব” শিরোনাম ব্যবহার করা হয়। | এই পদ্ধতিতে ক্রয়কৃত পণ্যের জন্য ক্রয় হিসাব” শিরোনাম ব্যবহার করা হয়। |
৩. তথ্যের ধারণা | এতে পণ্য সম্পর্কিত চলমান তথ্য প্রকাশ করা হয়। | এতে পণ্য সম্পর্কিত কালান্তিক তথ্য প্রকাশ করা হয়। |
8. ব্যবহারের ক্ষেত্র | বহৎ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অথচ কম সংখ্যক আইটেমের পণ্য বিক্রয় করে সেই সকল প্রতিষ্ঠানে এ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। | ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অথচ অধিক সংখ্যক আইটেমের পণ্য বিক্রয় করে সে সকল | প্রতিষ্ঠানে এ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। |
৫. রেকর্ড সংরক্ষণ | ক্রয় ও বিক্রীত সকল মালের একটি অবিরাম রেকর্ড সংরক্ষিত হয়। | ক্রয় ও বিক্রীত পণ্যের অবিরাম রেকর্ড রাখা হয় না। |
৬. গণনা | প্রতিবার বিক্রয়ের পর গণনা বা সমন্বয় করা হয়। | বছরে কমপক্ষে একবার মজুত গণনা করা হয়। |
৭. শ্রম ও খরচ | এ পদ্ধতি প্রচুর পরিশ্রম ও খরচ সাপেক্ষ। | এটা স্বল্প ব্যয় ও স্বল্প পরিশ্রম সাপেক্ষ। |
৮. সনাক্তকরণ | এ পদ্ধতিতে ঘাটতি পণ্য, বিনষ্ট পণ্য, অপ্রচলিত পণ্য সহজেই সনাক্ত করা যায়। | এ পদ্ধতিতে ঘাটতি পণ্য, বিনষ্ট পণ্যের হিসাব সনাক্ত করা যায় না। |
৯. মজুত সময়কাল গণনার
| সারা বছর ধরে এ পদ্ধতিতে মজুত পণ্যের পরিমাণ ও টাকার অংকের হিসাব রাখা হয়। | এ পদ্ধতিতে বছরের শেষে মজুত পণ্যের পরিমাণ ও টাকার অংক জানা যায়। |
১০. ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ | অবিরত মজুদ পদ্ধতিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়। | কালান্তিক মজুদ পদ্ধতিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়। |
১১. পদ্ধতি প্রয়োগ সমস্যাবলি | এ পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য ব্যবসায়ের স্বাভাবিক কাজকর্মের ব্যাঘাত ঘটে না। | এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যবসায়ের স্বাভাবিক কাজকর্মের ব্যাঘাত ঘটে। |
১২. গণনার ভিত্তি | এ পদ্ধতিতে পুস্তক গণনার উপর নির্ভরশীল। | এ পদ্ধতি প্রত্যক্ষ গণনার উপর নির্ভরশীল। |
১৩. গণনাকারী | এ পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য স্থায়ী ও অভিজ্ঞ গণনাকারী কর্মীদল নিয়োগের প্রয়োজন হয়। | এ পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য আলাদা কর্মীদল নিয়োগ করতে হয় না। |
১৪. সমাপনি জাবেদা | এ পদ্ধতিতে অস্থায়ী সকল ধরণের হিসাবের জন্য জাবেদা দাখিলা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। | এ পদ্ধতিতে অস্থায়ী সকল ধরণের হিসাবের জন্য জাবেদা দাখিলা দেয়ার প্রয়োজন হয়। |
পরিশেষে বলা যায় যে, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মজুদ পণ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অবিরত মজুদ পদ্ধতি এবং কালান্তিক মজুদ পদ্ধতির মধ্যে কিছু কিছু মিল থাকলে অমিল বা পার্থক্যের পরিমাণ বেশি। তবে মজুদ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সুবিধা অনুযায়ী উভয় পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে।