ইসবগুলের ভুসি উপকারিতা ক্ষতি ছবি এবং দাম ও খাওয়ার নিয়ম।

ইসবগুলের ভুসি উপকারিতা ক্ষতি ছবি এবং দাম ও খাওয়ার নিয়ম।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসুবগুলের ভুসির জুড়ি গুরুত্ব অনেক।
ইফতারে স্বাস্থ্যকর এই শস্য বীজ শরবত বানিয়ে খাওয়া হয়।
খাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ইসবগুলের ভুষি পানিতে মিশিয়ে পান করা উচিত।
দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখা ভুসি উপকারের বদলে ক্ষতিই করে বেশি।
জানুন ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক নিয়ম।

ইসবগুলের ভুসি উপকারিতা:
পেট ব্যথা দূরীকরণে ইসবগুলের ভূমিকা অনন্য।
এর মিউসিলেজিনাসের কারণে আলসারজনিত পেট ব্যথা কম অনুভূত হয়।
ইসবগুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে।
এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে দুই বা তিন চামচ ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মেলে।
আমাশয় কিংবা অর্শ রোগ দূর করতে ইসবগুল দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়
হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ইসবগুল বিশেষ উপকারী।
কোলেস্টেরল ও উচ্চ-রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং ওজন কমাতে ইসবগুল দারুণ কাজ করে।
ইসবগুলের ভুসিতে আছে জিলাটিন নামক একটি উপাদান।
যা দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাক্সগার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে। এতে রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে না।
এর ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিস।
এই ভুসিতে ফাইবার উপস্থিতি থাকায় হজম প্রক্রিয়া ধীরগতিতে হয়। এতে ক্ষুধা কম লাগে এবং ওজন কমে।

“আর পড়ুনঃ” তোকমা (pignut) খাওয়ার উপকারিতা গুণ

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
ইসবগুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামিনো এসিড রয়েছে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
প্রতিদিন দুই থেকে তিন চা চামচ ইসবগুল ভুষি এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে দুই থেকে চারবার খেতে পারেন, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সমাধান পাবেন।

ইসবগুলের ভুসি ছবি, পিকচার ফটো ইমেজ ওয়ালপেপার
ইসবগুলের ভুসি পিকচার

ইসবগুলের ভুসি কি
ভুসি, ভুষি ফসলের খোসা বা চোকলা।
ইসবগুলের ভুসি হল ১ প্রকার দ্রবণীয় ফাইবার যা সাইলিয়াম (প্ল্যান্টাগো ওভাটা) বীজের খোসা থেকে পাওয়া যায়।
রেচক বা ল্যাক্সেটিভ (laxative) হিসেবে পরিচিত।
ইসবগুলের ভুসি আমাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ, হার্ট বা হৃদপিন্ড এবং অগ্নাশয় (Pancreas) সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

“আর পড়ুনঃ” তালমাখনা খাওয়ার সঠিক নিয়ম, তালমাখনা ছবি

ইসবগুলের বীজ

কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম
ইসবগুলের ভুষিতে থাকে কিছু অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয় খাদ্যআঁশের চমৎকার সংমিশ্রণ যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য খুব ভালো ঘরোয়া উপায় হিসেবে কাজ করে।
ইসবগুলের ভুষি পাকস্থলীতে গিয়ে ফুলে ভেতরের সব বর্জ্য পদার্থ বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিকভাবে জলগ্রাহী হওয়ার কারনে পরিপাকতন্ত্র থেকে পানি গ্রহণ করে মলের ঘনত্বকে বাড়িয়ে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ২ চামচ ইসবগুল এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে পান করে নিন।

ইসবগুলের ভুষি খেলে কি হবে?
ইসবগুলের পুষ্টিগুণ ইসুবগুলে রয়েছে অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান।
প্রতিদিন কতটুকু ইসুবগুলের ভুসি খেতে পারবেন তাতে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং গ্যাস্ট্রিকের দূর করে
ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে হার্ট ভালো রাখে।

ইসবগুলের ভুসি খেলে কি মোটা হওয়া যায়
যেহেতু ইসুবগুলে কম ক্যালোরি রয়েছে, তাই এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওজন কমানোর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর উপায়।
ইসুবগুল খেলে বাড়তি ক্যালোরি জমে যাওয়ার ভয় থাকে না।
ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
আপনি যদি ইসুবগুলের ভুসি পানিতে ভিজিয়ে খান তবে তা আকারে দশগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
ইসবগুলের ভুসি খেলে মোটা হওয়ার ভয় থাকে না।

খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়
ইসবগুলের ভুসি ওজন কমানোর জন্যেও কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। ওজন কমাতে হলে প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি এবং সাথে অল্প পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে।
এই শরবত আপনি সকালের নাস্তার আগে খাবেন। আপনি চাইলে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেতে পারেন আপনার ইচ্ছা।

ইসবগুলের ক্ষতিকর দিকগুলি
উত্তর: কোষ্ঠকাঠিন্যে ইসবগুলের ভুসি-জাতীয় খাবারের উপকারিতা হচ্ছে এগুলো উচ্চ আঁশযুক্ত, তাই অন্ত্রে হজম হয় না এবং মলত্যাগ করতে সাহায্য করে।
সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে ভিজিয়ে না রেখে পানিতে গুলে সঙ্গে সঙ্গেই পান করা উত্তম।

ইসবগুলের ভুসি দাম ২০২৩

সচরাচর এই ইসবগুলের ভুসির দাম একটু বেশি হয়ে থাকে।
তবে একটু তারা যখনই এই ভুসি সাধারণভাবে ক্রয় করেন তখন অল্প পরিমাণে ক্রয় করে থাকেন।
যেমন কেউ ক্রয় করার ১০০ গ্রাম আবার কেউ ক্রয় করেন ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম।
তবে আপনাদের জানাবো ইসবগুলের ভুসি কত টাকা কেজি।
অর্থাৎ বাজারের দরদাম অনুযায়ী আজকের ইসবগুলের ভুসির দাম ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি।

ইসবগুলের ভুষি কতদিন খাওয়া ভালো
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একটানা দীর্ঘদিন ইসবগুলের ভুসি খাওয়া ঠিক নয়।
এতে ডায়রিয়া ও অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
একটানা ৩ দিন ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার পর কোষ্ঠকাঠিন্যের উন্নতি না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ইসবগুলের ভুষি কোথায় পাওয়া যায়
আপনারা যে কনো বাইনাতির দোকানে পাবেন।
বাজারে পাওয়া যাবে।

ইসবগুলের ভুসি কিভাবে খেতে হয়
যেকোনো দুইবেলা খাবার খাওয়ার পর ইসবগুলের ভুসি খাওয়া সবচেয়ে উত্তম।
মনে রাখা জরুরি, ইসবগুলের ভুসি খেলে সারাদিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করতে হবে।

ইসবগুলের ভুসি কিভাবে তৈরি হয়
কোনো ক্ষুদ্র ফুলের সূক্ষ্ম পাপড়ি হবে, কিন্তু এর সম্পর্ক ফুলের সঙ্গে নয়, বীজের সঙ্গে।
সঠিকভাবে বলতে গেলে বীজের খোসার সঙ্গে, যাকে আমরা ইসবগুলের ভুষি বলে জানি।
বিদেশি বাজারে এটা সিলিয়াম হাস্ক (Psyllium husk)।
গ্রীক ‘সিলা’ (psylla) অর্থ এক ধরনের মাছি, ডানাহীন ফ্লি-মাছি।

About Post Author

Related posts