নিত্য মজুদ তালিকা পদ্ধতি কী? এর সুবিধা-অসুবিধা আলোচনা করুন। (Discuss the perpetual inventory system? Discuss its advantages and disadvantages.)
নিত্য মজুদ তালিকা পদ্ধতি: নিত্য মজুদ তালিকার মাধ্যমে প্রতিটি পণ্য ক্রয়ের ক্রয়মূল্য এবং বিক্রয়ের বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। এ পদ্ধতিতে নিত্যদিনের প্রতি আইটেম পণ্যের মজুদের পরিমাণ জানা যায়। যে সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান উচ্চমূল্যের এবং সীমিত প্রকারের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে সাধারণত সেসব প্রতিষ্ঠান নিত্য মজুদ তালিকার মাধ্যমে পণ্য মজুদ লেনদেনসমূহের হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে। সাম্প্রতিককালে কম্পিউটার এবং ইলেক্ট্রনিক্স Scanner ব্যবহারের ফলে আরো অধিক সংখ্যক কোম্পানি এ পদ্ধতিতে মজুদ পণ্যের হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে। নিত্য মজুদ তালিকা প্রণালী নামকরণ করা হয়েছে এ জন্যে যে, হিসাব তথ্য হতে ধারাবাহিকভাবে নিত্যদিনের মজুদের পরিমাণ, মূল্য যে কোন সময় জানা যায়। কালান্তিক মজুদ প্রণালীর তুলনায় নিত্য মজুদ তালিকা প্রণালীর মাধ্যমে মজুদ পণ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা অধিক সহজ এবং সুবিধাজনক হয়।
সুবিধাসমূহ: নিত্য মজুদ তালিকা পদ্ধতির সুবিধাসমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো :
“আর পড়ুনঃ” কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি কী? এর সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করুন।
১. নির্দিষ্ট মাত্রার মাল মজুদ রাখা হয় বলে মাল বাবদ অতিরিক্ত মূলধন বিনিয়োগ করতে হয়
২. এ পদ্ধতি ভাণ্ডারের উপর একটি পূর্ণাঙ্গ ও নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা পদ্ধতি।
৩. মজুদ মালের গণনার জন্য ব্যবসায়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রাখার দরকার হয় না।
৪. আর্থিক বিবরণ প্রণয়ন মজুদ মালের অংকের জন্য বিলম্বিত হয় না; কারণ সর্বদাই মজুদ পণ্যের পরিমাণ ও মূল্য জানা যায়।
৫. অতি সহজে বিক্রয়কৃত পণ্যের ক্রয় বা উৎপাদন ব্যয় জানা যায়।।
৬. এ পদ্ধতিতে হিসাব রাখলে পণ্যের চুরি বা অপচয় যথাসময়ে ধরা পড়ে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়।
৭. পণ্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
৮. যে কোন সময় মজুদ পণ্যের পরিমাণ জানা যায়।
৯. শুদামজাত পণ্যের উপর উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।
১০. অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে এ কাজে নিয়োগ করা সম্ভব।
“আর পড়ুনঃ” মূলধন ও মুনাফা জাতীয় আয় অথবা, মূলধন ও মুনাফা জাতীয় আয়ের সংজ্ঞা
অসুবিধাসমূহ (Disadvantages): যে সকল ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অধিক প্রকারের পণ্য বিক্রয় করে সে ক্ষেত্রে এ পদ্ধতির প্রয়োগ খুব ব্যয়বহুল ও শ্রম সাপেক্ষ কাজ। তবে বর্তমানকালে Computer Scanner ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে এ পদ্ধতির ব্যবহার হয়।