হিসাব সমীকরণ (Accounting Equation)
হিসাবরক্ষণের কার্যাবলিকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, এতদসংক্রান্ত প্রতিটি লেনদেনের দুইটি পক্ষ বা হিসাব খাত থাকে। একটি গ্রহীতা বা ডেবিট পক্ষ এবং অন্যটি দাতা বা ক্রেডিট পক্ষ। এই বিষয়টি মূলত দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি থেকে উদ্ভাবিত হয়েছে। এ পদ্ধতির মূলকথা হচ্ছে প্রতিটি লেনদেনের জন্য যে পরিমাণ টাকা ডেবিট করা হবে ঠিক সেই পরিমাণ টাকা ক্রেডিট করতে হবে। সর্বদাই একটি অপরটির সমান থাকে। এর উপর ভিত্তি করেই আধুনিক হিসাবশাস্ত্রবিদগণ একটি গাণিতিক সূত্র প্রদান করেন। এই সূত্রই হিসাব সমীকরণ নামে পরিচিত।
যে গাণিতিক সূত্রের মাধ্যমে ব্যবসায়ের মোট সম্পত্তি ও মোট দায়ের সম্পর্ক প্রকাশ করা হয় তাকে হিসাব সমীকরণ বলে। ব্যবসায়ের মোট সম্পত্তিকে A এবং সম্পত্তির উপর অধিকারকে E ধরলে সমীকরণটি দাঁড়ায়, A = E (A = Assets, E= Equity)। সঙ্গত কারণেই উল্লিখিত সমীকরণটি নিম্নরূপে প্রকাশ করা যায় : মোট সম্পত্তি = মোট দায় = অন্তর্দায় + বহির্দায়
“আর পড়ুনঃ” কারবারি বাট্টা (Trade discount)
Total Assets = Total Liabilities = Interal Equity + External Equity ΣA = ΣE = ΣIE + ΣEE [এখানে, IE = Internal Equity, EE = External Equity]
or,ΣA = ΣE = ΣP + ΣEE [এখানে, P বলতে Proprietorship অর্থাৎ Capital-কে বুঝায়]