যে সহে, সে রহে?
উত্তরঃ জগৎ- সংসারে যারা সহিংস ও ধৈর্যশীল তারা জীবনে বহুক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারে। ধৈর্য সহনশীলতা মানুষকে অন্তরের শক্তিতে বলিয়ান করে তোলে। সেই শক্তি মানুষকে অনুপ্রাণিত করে সমস্যা মোকাবেলায়, প্রতিকূলতা অতিক্রমে। মানবজীবনে চলার পথ বড়ই বন্ধুর। জীবনের নানা প্রতিকূল অবস্থার সঙ্গে সংগ্রাম করে মানুষকে এগিয়ে যেতে হয়। রোগ-শোক, দুঃখ-কষ্ট, দারিদ্র ও হতাশা -এ সবের সঙ্গে সংগ্রাম করতে গিয়ে মানুষ অনেক সময় দিশেহারা হয়ে পড়ে। এমনকি মাঝে মাঝে বাঁচার ইচ্ছাও হারিয়ে ফেলে। কিন্তু ধৈর্যের শক্তিতে মানুষই পারে প্রত্যাশার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা নিয়ে সব কিছুকে জয় করতে। সেজন্য প্রয়োজন ধৈর্য, শক্তি, সাহস, অধ্যবসায় ও সহিংসতা। এ গুণগুলো সব মানুষের জন্য আবশ্যক। তা না হলে মানুষ জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে পারবে না। প্রতি পদে পদে তাকে পর্যদস্ত হতে হবে। জীবনের চলার পথে অনেক লাঞ্ছনা,গঞ্জনা ও যাতনা সহ্য করতে হতে পারে। কিন্তু এতে ধৈর্য হারালে চলবে না। সহনশীল ক্ষমতার অধিকারী হতে হবে। এই ধৈর্য ও সহনশীলতার শক্তিতে জ্ঞানী-গুণীরা ও মহামানবরা পৃথিবীর বুকে দুঃখ ও বিপদন জয়ের অক্ষয় কীতি রেখে যেতে পেরেছেন। মহামানবরা মানবজাতিকে সত্যের পথে, ন্যায়ের পথে, সুন্দর জীবনের পথে আনার জন্য বহু ত্যাগ,তিতিক্ষা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। কখনো হাল ছেড়ে দেননি, ধৈর্য্যহারা হয়ে পড়েননি। বরং আশার আলো নিয়ে, সহনশীল মনোভাব নিয়ে কাজ করে গেছেন। তাদের এই মহৎ ত্যাগের ফলেই মানুষ পেয়েছেন সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবী। ত্যাগ, ধৈর্য, সহিংসতাই মানব জীবনের সুখ – শান্তি প্রতিষ্ঠা ও লাভের পর্বসত্ব। ধৈর্যশীল মানুষই পারে ধীর-স্থিরভাবে প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করতে। বস্তুত ধৈর্য ও সহিংসতায় মানব জীবনকে নিয়ে যেতে পারে সফলতা শেষ প্রান্তে।