জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর?
উত্তরঃ বিশ্বব্রক্ষ্মাণ্ডের যিনি স্রষ্টা তিনি তার সৃষ্ট প্রতিটি জীবের মধ্যেই বিরাজমান।তাই জীবসেবার মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে স্রষ্টাকে পাওয়া যায়। কোনো নির্দিষ্ট ধর্মীয় সংস্থানেই শুধু তাকে লাভ করা যায়, এমন ধারণা অমূলক। স্রষ্টার প্রতিটি সৃষ্টিকে ভালোবাসার মাধ্যমেই তার আনুকূল্য লাভ করা যায়। ক্ষুধার্তকে অন্নদান তৃষ্ণার্তের পিপাসা মেটানো, অসহায় ও দুর্গতেের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোর মাধ্যমে স্রষ্টার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রকাশ ঘটে।যেহেতু মানুষ বিবেকবান, মনুষ্যত্বের অধিকারী, সর্বোপরি দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন, সে কারণে চারপাশের প্রতিটি জীবের প্রতি রয়েছে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমাদের চারপাশে অসংখ্য দীন দরিদ্র ও অসহায় মানুষ রয়েছে।এরা সম্পদশালী ও বিত্তশালীদের সাহায্য প্রত্যাশা করে। স্রষ্টা তখনই সন্তুষ্ট হন যদি সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা দরিদ্র মানুষের প্রতি সেবার হাত বাড়িয়ে দেয়।সম্পদশালী ও বিত্তশালী না হলেও সামান্য সাহায্য করার ক্ষমতা থাকলেও অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে সাহায্য করা উচিত। স্রষ্টার সৃষ্ট যে কোন জীবের কল্যাণে সামান্য সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মূল্যও অনেক বেশি।আবার যিনি সবকিছু বাদ দিয়ে শুধু ধ্যান ও প্রার্থনার মাধ্যমে স্রষ্টাকে পেতে চান তিনি প্রকৃতপক্ষে স্রষ্টার করুণা ও আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হন। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট জীবকে ভালবাসলেই তার করুণা ও আশীর্বাদ লাভ করা যায়। যেহেতু সৃষ্টিকর্তাকে সরাসরি সেবা করা যায় না তাই তার সৃষ্ট জীবের সেবার মাধ্যমেই তার সান্নিধ্য লাভ সম্ভব। স্রষ্টার সৃষ্ট জীবকে ভালবাসলে, সেবা করলে, তাদের দুঃখকষ্ট দূর করলেই স্রষ্টার ভালোবাসার লাভ করা সহজ হয়।এর মাধ্যমে স্রষ্টারও সেবা করা হয়। কারণ নিরাকার স্রষ্টা আমাদের মধ্যে ও চারপাশের জীবের মধ্যেই বিরাজমান।
জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর,( ভাব সম্প্রসারণ)