সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত?
উত্তরঃসুশিক্ষিত হওয়ার জন্য একজন মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তার নিজের উদ্যোগ। ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ছাড়া সুশিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে না। কেবল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মানুষকে সুশিক্ষিত করে তুলতে পারে না। অনেকেই শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়াকে শিক্ষা লাভের একমাত্র উপায় বলে মনে করেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত সনদপএকে নিজেদের সুশিক্ষার প্রমানপত্র হিসেবে ভেবে নেন। কিন্তু এ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কিংবা সনদসবস্ব শিক্ষার নাম প্রকৃত শিক্ষা নয়। মানুষের জীবনে শিক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয় তার শিশুকাল থেকেই। পরিবার, আশেপাশের পরিবেশ ইত্যাদির মাধ্যম থেকে শিশুর শিক্ষা গ্রহণ শুরু। পরবর্তী সুসংগঠিত ও শৃংখলাবদ্ধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষা অর্জনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উচ্চতর শিখরে আরোহণ করা কিরে ভালো ফলাফল করার কৃতিত্ব কৃতিত্ব অর্জন কিংবা ভালো ফলাফল করার কৃতিত্ব অর্জন করলেই সুশিক্ষিত হওয়া যায় না। বরং এই শিক্ষার সঙ্গে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে অর্জিত জীবনাভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ একজন মানুষকে সুশিক্ষিত করে তোলে। প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের জন্য চাই আত্মপ্রয়াস।নিজ চেষ্টায় যে মানুষ তার বুদ্ধিবৃত্তিকে প্রচলিত করে অসাধারণ পর্যায়ে নিয়ে যায় তার চেতনায় মৌলিকত্বের উন্নেষ ঘটে। আর এ জন্য চাই একাগ্রতা ও প্রচুর পরিশ্রম। সুশিক্ষিত হয়ে ওঠার জন্য এটাই শ্রেষ্ঠ গ্রন্থা।এভাবে যারা শিক্ষিত হয়ে ওঠেন তাদের মননে থাকে না কোনো কুসংস্কার তাদের দৃষ্টিভঙ্গি হয় অন্যদের চেয়ে সুদূরপ্রসারী। পৃথিবীতে অনেক সুশিক্ষিত ব্যক্তি রয়েছে যারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গন্ডি পর্যন্ত অতিক্রম করেননি।আবার অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষও রয়েছে যারা নানা কুসংস্কারের নিগড়ে নিজেদের বন্দি রাখেন। ফলে শিক্ষা থাকলে ও এদেরকে প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ বলা যায় না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জ্ঞান-সাধনার নানা পথ সুগম করে তুললেও একজন মানুষকে নিজের প্রচেষ্টাতেই সুশিক্ষিত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হয়। সর্ব উদ্যোগে সুশিক্ষিত মানুষরা হন কুসংস্কার এব আলোয় আলোকিত