সুস্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালো?
উত্তরঃমানব চরিত্রের অসাধারণ একটি গুণ হলো- সত্য বলার সাহস রাখা। যে ব্যক্তি সত্যের পক্ষে আপোসহীন, অন্যায়ের কালিমা তাকে কখনোই স্পর্শ করতে পারে না। এমন ব্যক্তির শত্রুতা নির্বাক বন্ধুর বন্ধুত্বের তুলনায় অনেক বেশি প্রশংসার দাবিদার। মানুষ একা পথ চলতে পারে না। সে অন্যের সঙ্গ কামনা করে, চায় প্রকৃত বন্ধু। যে বন্ধু সুখে দুঃখে, আনন্দ-বেদনায় তথা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে নিঃস্বাথ সঙ্গ প্রদান করবে। কিন্তু বন্ধু যদি সময়ে অসময়ে বন্ধুর পাশে এসে না দাঁড়ায়, নির্বাক থাকে, প্রয়োজনে সুপরামর্শ দান না করে তবে সে বন্ধুত্বের কোন মূল্য নেই। বন্ধু যদি বন্ধুর কুটি বিচ্যুতি নির্দেশ করে সংশোধনের পথ বাৎলে না দেয় তবে সে বন্ধু কোন মঙ্গলজনক কাজে লাগে না।বরং প্রয়োজনে সত্য উচ্চারন থেকে যে বন্ধু নিজেকে বিরত রাখে সে বন্ধুর ভূমিকা নেতিবাচক বলেই গণ্য হয়। অন্যদিকে সুস্পষ্টভাদী শত্রু অনেক সময় মানুষের জীবনে পালন করে উপকারী উপকারী ভূমিকা। শএু যদি স্পষ্টভাষী হয় তাহলে সে অকপটে অন্যের দোষএুটি সামনে তুলে ধরে। এতে একদিকে শএু সম্পর্কে যেমন সতর্ক হওয়া যায়। তেমন নিজেকে সংশোধন করার পথও খুঁজে পাওয়া যায়। অর্থাৎ নির্বাক বন্ধুর তুলনায় স্পষ্টভাষী শত্রুই পালন করে প্রকৃত সুহৃদের ভূমিকা। তাই বিজ্ঞ ব্যক্তিরা নির্বাক বন্ধুর তুলনায় সুস্পষ্টবাদী শত্রুকেই জীবনে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কেনানা তারাই দিয়ে থাকে সঠিক পথের সন্ধান। মানুষের জীবনে প্রকৃত বন্ধুর ভূমিকা অনন্য, যদি সে বন্ধু সত্য প্রকাশের অকপট হয়। তাই বন্ধু নির্বাচনে তার স্পষ্টবাদীতার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা, তবেই বন্ধু বন্ধুর জন্য মঙ্গলজনক ভূমিকা পালন করতে পারবে।