দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য বা মূলনীতিসমূহ আলোচনা করুন।

দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য বা মূলনীতিসমূহ আলোচনা করুন। (Discuss the characteristics or fundamental principles of double entry system?)

দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি বিজ্ঞানসম্মত, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য হিসাব ব্যবস্থা।
কতিপয় স্বতঃসিদ্ধ বৈশিষ্ট্য বা মূলনীতি অনুসরণ করে এ পদ্ধতিতে হিসাব সংরক্ষণ করা হয়।
ফলে একদিকে লেনদেনের গাণিতিক শুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়, অন্যদিকে কারবারের আর্থিক অবস্থাও নিরূপণ করা সহজ হয়।
নিচে দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য বা মূলনীতির ব্যাখ্যা হলো :

১. দুটি পক্ষ (Two parties): প্রতিটি লেনদেনে দুটি পক্ষ থাকবে। একটি ডেবিট পক্ষ আর একটি ক্রেডিট পক্ষ। এর মূলনীতি অনুসারে প্রতিটি ডেবিট সমপরিমাণে ক্রেডিট সৃষ্টি করে অথবা প্রতিটি ক্রেডিট সমপরিমাণ ডেবিট সৃষ্টি করে।

২. দাতা ও গ্রহীতা (Giver and receiver): প্রতিটি লেনদেনের স্বতঃসিদ্ধভাবে একজন দাতা ও একজন গ্রহীতা

থাকবে।

৩. সমান অংকের আদান-প্রদান (Corresponding equal amount of money): প্রতিটি লেনদেনের দাতা ও গ্রহীতার টাকার অংক সমান হবে।

8. ভিন্ন সত্তা (Separate entity): এ পদ্ধতিতে মালিক হতে কারবারকে ভিন্ন সত্তা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
তাই কারবারকে একটি সত্তা ধরতে হয়।

৫. দুটি দিক (Two sides): প্রতিটি হিসাবকে দুভাগে ভাগ করা হয়। হিসাবের বাম দিককে ডেবিট দিক এবং ডান দিককে ক্রেডিট দিক বলা হয়।

৬. ফলাফল (Effects): দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতিতে মোট ডেবিটের সমষ্টি মোট ক্রেডিটের সমষ্টির সমান হয়।
এতে ফলাফল নিরূপণ সহজ হয়।

৭. পূর্ণাঙ্গ হিসাব ব্যবস্থা (Complete accounting system): দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি একটি বিজ্ঞানসম্মত পূর্ণাঙ্গ হিসাব ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে হিসাব সম্পূর্ণরূপে সংরক্ষণ করা হয় এবং কোন পক্ষকে বাদ দেওয়া হয় না।

পরিশেষে বলা যায়, কোন লেনদেনই উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্য বা মূলনীতির ব্যতিক্রম হবে না। ব্যতিক্রম হলে হিসাব বইতে সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে না এবং হিসাব-নিকাশের মূল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে।

About Post Author

Related posts