বিপরীত দাখিলা কী? কীভাবে বিপরীত দাখিলা সমন্বয় দাখিলা হতে আলাদা?
(What is reversing entry? How do reversing entries differ from adjusting entries?)
বিপরীত দাখিলা সমন্বয় দাখিলার বিপরীত যা পরবর্তী হিসাবকালের শুরুতে কোন কোন প্রতিষ্ঠান দিয়ে থাকে।
নতুন হিসাবকালের শুরুতে পূর্ববর্তী হিসাবকালের বকেয়া ও অগ্রিম সংক্রান্ত আয় ও ব্যয়সমূহের বিপরীত দাখিলা দেয়া হয়।
এক কথায়, নির্দিষ্ট হিসাবকাল শেষে যে সমন্বয় দাখিলা দেয়া হয় পরবর্তী হিসাবকালে তা বিপরীতভাবে লিখে যে দাখিলা দেয়া হয় তাকেই বিপরীত দাখিলা
বা Reversing entries বলে।
বিপরীত দাখিলা সমন্বয় জাবেদার ঠিক বিপরীত।
তাই একে বিপরীত দাখিলা বলা হয়। তবে সবসময় সমন্বয় দাখিলার জন্য বিপরীত দাখিলার প্রয়োজন হয় না।
নিচে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো :
Kieso & Kimmel, বলেন “Reversing entry is an entry made at the beginning of the next accounting period that is the exact opposite of the adjusting entry made in the previous period.” অর্থাৎ, বিপরীত দাখিলা হলো পরবর্তী হিসাবকালের প্রথমে দেওয়া একটি দাখিলা যেটি পূর্ববর্তী বছরে প্রদত্ত সমন্বয় দাখিলার প্রকৃত বিপরীত
“আর পড়ুনঃ” সমাপনী জাবেদা/ দাখিলা বলতে কী বুঝেন?
Hermanson, বলেন “Reversing entry are journal entries made on the first day of the next accounting period to reverse the effects of the adjusting entries to which they relate.”, হিসাবকালের প্রথম দিনে সমন্বয় দাখিলার সাথে যেগুলো সম্পর্কিত সেগুলোর প্রভাব উল্টানোর জন্য যে জাবেদা দাখিলা দেওয়া হয় তাকে বিপরীত দাখিলা বলে।
“আর পড়ুনঃ” নগদ বাট্টা ও কারবারি বাট্টা বলতে কী বুঝেন?
এখানে উল্লেখ্য যে, বিপরীত দাখিলা তৈরি করা বাধ্যতামূলক নয়, এটি ঐচ্ছিক ব্যাপার।
বিপরীত দাখিলা ব্যবহারের ফলে আর্থিক বিবরণীতে প্রদর্শিত আয়-ব্যয়ের টাকার পরিমাণ বদলায় না।
তবে এটি পরবর্তী সালে উক্ত লেনদেনের নগদ নিষ্পত্তির সময় হিসাবভুক্তকে সহজ করে মাত্র।।
কেউ যদি বিপরীত দাখিলা দেখান, তবে নিম্নোক্ত সমন্বয় দাখিলার ক্ষেত্রেই শুধু বিপরীত দাখিলা দেখাতে হবে :
১. প্রদেয় খরচ ও প্রাপ্য আয়ের ক্ষেত্রে;
২. অগ্রিম প্রদত্ত খরচ প্রাথমিকভাবে খরচ হিসাবে এবং
অগ্রিম প্রাপ্ত আয় প্রাথমিকভাবে আয় হিসাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
“আর পড়ুনঃ” হিসাব চক্রের ধাপগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
বিপরীত দাখিলা কী? কীভাবে বিপরীত দাখিলা সমন্বয় দাখিলা হতে আলাদা?
যে সকল সমন্বয় দাখিলার জন্য বিপরতি দাখিলার প্রয়োজন নেই, তা হলো :
১. অগ্রিম প্রদত্ত খরচ সম্পত্তি হিসেবে লিপিবদ্ধ হলে।
২. অগ্রিম প্রাপ্ত আয় দায় হিসেবে লিপিবদ্ধ হল।
৩. অনুমিত দায়সমূহ যেমন—অবচয়, কুঋণ সঞ্চিতি, আয়কর সঞ্চিতি ইত্যাদি।