হিসাববিজ্ঞান সমীকরণকে উদ্বতপত্র সমীকরণও বলা হয়ে থাকে কেন? (Why accounting equation is also called Balance sheet equation?)
লেনদেনই হলো হিসাবরক্ষণের মূলভিত্তি। সাধারণ অর্থে, লেনদেন হলো অর্থের আদান-প্রদান অথবা অর্থের মানদণ্ডে পরিমাপযোগ্য কোন দ্রব্য বা সেবার আদান-প্রদানের মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে সেরূপ আদান-প্রদানকেও লেনদেন বলে। এই লেনদেনের দ্বারাই কারবারের সম্পত্তি হ্রাস বা বৃদ্ধি পায় এবং দেনার পরিমাণও হ্রাস বা বৃদ্ধি পেতে পারে। উদ্বর্তপত্রে এই সম্পত্তির এবং দেনার সুষ্ঠু পরিমাণ বিশ্লেষিত হয়। এর দ্বারা কারবারের আর্থিক অবস্থা সুষ্ঠুভাবে জানা সম্ভব হয়। উদ্বতপত্রের এই সম্পত্তি ও দেনার পরিমাণ দ্বারাই হিসাব সমীকরণ সৃষ্টি হয়েছে। আধুনিক হিসাববিজ্ঞানীদের মতে, এই হিসাব সমীকরণ হচ্ছে:
সম্পত্তিসমূহ = দায়সমূহ + মালিকানা স্বত্ব
(Assets = Liabilities + Proprietorship)
সংক্ষেপে, A = L + P
অথবা, P = A – L
কারবারের প্রত্যেক লেনদেন দ্বারা এই হিসাব সমীকরণটি প্রভাবিত হয়ে থাকে। হিসাব কৌশলের মাধ্যমে এই লেনদেন দ্বারা পরিবর্তিত সম্পত্তি ও দেনা প্রকাশিত হয়ে থাকে। প্রতি হিসাবের বর্ধিত মূল্য থেকে হ্রাসকৃত মূল্য পৃথক করে উদ্বৃত্ত দেখানো হয়। সেই উদ্বৃত্ত ডেবিট হলে সম্পত্তি হিসাবে এবং ক্রেডিট হলে দেনা হিসাবে উদ্বৃত্তপত্রে প্রতিফলিত হয়ে থাকে।
হিসাব সমীকরণ অনুযায়ী লেনদেন লিপিবদ্ধকরণের পদ্ধতি হচ্ছে
১. সম্পত্তিবাচক হিসাবের লেনদেন (A) :
সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি পেলে………..ডেবিট
সম্পত্তির মূল্য হ্রাস পেলে …….. ক্রেডিট
২. দেনাবাচক হিসাবের লেনদেন (L):
দায়ের পরিমাণ হ্রাস পেলে……ডেবিট
দায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে …..ক্রেডিট
মালিকানা স্বত্ব (P):
মালিকানা স্বত্ত্ব হ্রাস বা বৃদ্ধি আয় বা ব্যয় দ্বারা প্রভাবিত হয়। এজন্য আমরা দেখতে পাই যে,
বায় বা খরচ বৃদ্ধি পেলে………ডেবিট
বায় বা খরচ হ্রাস পেলে……….ক্রেডিট
অন্যদিকে,
আয় বা মুনাফা হ্রাস পেলে …….. ডেবিট
আয় বা মুনাফা বৃদ্ধি পেলে …… ক্রেডিট