স্থায়ী সম্পত্তি ও চলতি সম্পত্তি (Current Assets and Long-term Assets)
স্থায়ী সম্পত্তি: যে সমস্ত সম্পত্তি ক্রমাগত ব্যবহারের দ্বারা মুনাফা অর্জনের জন্যে ক্রয় করা হয় তাকে স্থায়ী সম্পন্ন বলে। এগুলো অপরিবর্তনীয় প্রকৃতির এবং স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্যে রাখা হয়। যেমন-জমি, দালানকোঠা, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, মোটর যান, সুনাম ইত্যাদি সম্পদ।
অন্যদিকে যে সমস্ত স্থায়ী সম্পত্তি ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ক্রমশঃ নিৎশেষিত হয়ে যায় তাকে ক্ষয়িষ্ণু সম্পদবলে। যেমন-ইজারা সম্পত্তি, কয়লা খনি, তেলের খনি, অরণ্য ইত্যাদি।
“আর পড়ুনঃ” রক্ষণশীলতার নীতি / চলমান ধারণা অনুমান
এখানে উল্লেখ্য স্থায়ী সম্পত্তির উপর যখন অবচয় বা অবলোপন ধার্য করা হয় তখন সম্পত্তির ক্রয়মূল্য হতে অবলোপনকৃত অর্থ বা অবচয়/অবচয় সঞ্চিতি বা দিয়ে উহার বহির্মূল উদ্বর্তপত্রে দেখানো হয়।
“আর পড়ুনঃ” নগদ প্রবাহ বিবরণী (Cash Flow Statement)
চলতি সম্পত্তি: যে সকল সম্পদ বিক্রয়ের জন্য উৎপাদন বা সংগ্রহ করা হয় অথবা যে সকল সম্পদের সুবিধা এক বছরের মধ্যে নিঃশেষিত হয়ে যাবে বা যে সকল সম্পদ এক বছরের মধ্যে নগদ অর্থে পরিণত হবে তাদের চলতি সম্পদ বলে। চলতি সম্পদ বেশি দিন এক আকারে থাকে না, সর্বদাই পরিবর্তনশীল যেমন-দেনাদার, প্রাপ্য বিল, মওজুদ পণ্য, বিনিয়োগ হাতে নগদ, ব্যাংকে জমা, অগ্রিম খরচাবলি ইত্যাদি। চলতি সম্পন্ন আবার দু’ধরনের
১. ভাসমান সম্পদ (Floating Assets): যে সম্পত্তিসমূহের অবস্থান প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটে তাকে ভাসমান সম্পত্তি বলে। যেমন—ব্যবসায়িক পণ্য বা সেবা। যেহেতু এই সম্পত্তি Asset Cash Asset এই চক্রাকারে আবর্তিত হয় সেজন্য এদেরকে ভাসমান সম্পত্তি বলে।
২. তরল সম্পদ (Liquid Assets): যে সকল সম্পত্তিসমূহকে দায় পরিশোধে সরাসরি ব্যবহার করা যায় অর্থাৎ নামমাত্র লোকসান দিয়ে এ সকল সম্পত্তিকে এরূপ অবস্থায় পরিণত করা যায় যাতে পাওনাদারদের দাবি সহজে পরিশোধ করা যায় এরূপ সম্পত্তিকে তরল সম্পদ বলে। দেনাদারদের নিকট হতে পাওনা, প্রাপ্য বিল, হাতে নগদ ব্যাংকে জমা প্রভৃতি হল তরল সম্পত্তি।