তিনঘরা নগদান বই কাকে বলে? তিনঘরা নগদান বইয়ের সুবিধা কী কী? (What do you mean by triple column cash book? What are the advantages of triple column cash book?)
সংজ্ঞা: যে নগদান বইয়ে ডেবিট ও ক্রেডিট উভয় দিকে তিনটি করে টাকার ঘর থাকে তাকে তিনঘরা নগদান বই বলে। ঘর তিনটি যথাক্রমে নগদ, ব্যাংক ও বাটা বা বিপরীতক্রমে বাটা, নগদ ও ব্যাংক। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে নগদ ও ব্যাংক সংক্রান্ত লেনদেনের সাথে সাথে বাটাও লিপিবদ্ধ করা হয়। তিনঘরা নগদান বইয়ের ডেবিট দিকে প্রদত্ত বাট্টার পরিমাণ এবং ক্রেডিট দিকে প্রাপ্ত বাটার পরিমাণ লিপিবদ্ধ করা হয়। তবে নগদ ও ব্যাংকের মত বাট্টার ব্যালেন্স করা হয় না। প্রাপ্ত ও প্রদত্ত বাটার যোগফল দেখানো হয়। অর্থাৎ তিনঘরা নগদান বইতে একই সাথে নগদ জমার পরিমাণ, ব্যাংক উদ্বৃত্ত এবং প্রদত্ত ও প্রাপ্ত বাটার পরিমাণ জানা যায়।
ডেবিট তিনঘরা নগদান বই ক্রেডিট
তারিখ | বিবরণ | রঃ নং | খঃ পৃঃ | বাট্রা টাকা | নগদ টাকা | ব্যাংক টাকা | তারিখ | বিবরণ | ভাঃ নং | খঃ পৃঃ | বাট্রা টাকা | নগদ টাকা | ব্যাংক টাকা |
প্রাপ্তিসমূহ | প্রদানসমূহ |
তিনঘরা নগদান বই বলতে এমন একটি নগদান বইকে বোঝায় যার ডেবিট ও ক্রেডিট পাশে তিনটি করে টাকার কলাম থাকে এবং এর মাধ্যমে নগদ ব্যালেন্স এবং প্রদত্ত ও প্রাপ্ত টাকার পরিমাণ জানা যায়। এ পদ্ধতিতে হিসাব রাখলে শ্রম ও সময়ের সাশ্রয় হয় এবং দক্ষতার সাথে হিসাব পরিচালনা করা সম্ভব হয়। তিনঘরা নগদান বইয়ের সুবিধা: তিনঘরা নগদান বই থেকে আমরা নিম্নলিখিত সুবিধা পেয়ে থাকি :
১. চারটি হিসাব: তিনঘরা নগদান বই থেকে একই সাথে নগদান হিসাব, ব্যাংক হিসাব, প্রদত্ত বাটা হিসাব ও প্রাপ্ত বাটা হিসাব সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়।
২. উদ্বৃত্ত বা জের জানা: যে কোন সময় হাতে নগদ উদ্বৃত্তের পরিমাণ, ব্যাংকে জমার উদ্বৃত্তের পরিমাণ বা জমাতিরিক্তের পরিমাণ, প্রদত্ত বাটার মোট পরিমাণ ও প্রাপ্ত বাট্টার মোট পরিমাণ জানা যায়।
৩. সম্পূর্ণতা: তিনঘরা নগদান বইয়ে বাট্টা হিসাব সংরক্ষিত হয় বিধায় হিসাবের সম্পূর্ণতা বা পূর্ণাঙ্গতা সম্পন্ন হয়।
৪. অর্থ, সময় ও শ্রমের সাশ্রয়: একই সাথে চারটি হিসাব সংরক্ষণের ফলে পৃথক পৃথক খতিয়ান খোলার প্রয়োজন হয় না। ফলে অর্থ, সময় ও শ্রম সাশ্রয় হয়।
৫. সঠিকতা যাচাই: একটি নির্দিষ্ট সময়ের নগদ উদ্বৃত্ত, ব্যাংক উদ্বৃত্ত বাস্তবে নগদ ও ব্যাংক জমার উদ্বৃত্তের সাথে মিলিয়ে দেখা যায়। ফলে নগদান বইটির সঠিকতা যাচাই হয়।